রঞ্জি ট্রফিতে আগের ম্যাচে রেলওয়েজ়কে ইনিংসে হারিয়েছিল বাংলা। এ বার অসমকেও ইনিংসে হারানোর সুযোগ তাদের কাছে। অর্থাৎ, আরও একটি ম্যাচে ৭ পয়েন্ট পাওয়ার কাছে বাংলা। বুধবার ম্যাচের শেষ দিন ১৪৪ রানের মধ্যে অসমের বাকি ৭ উইকেট ফেলতে পারলেই ইনিংসে জিতে যাবেন অভিমন্যু ঈশ্বরণেরা।
মঙ্গলবার, তৃতীয় দিন বাংলাকে চালকের আসনে বসান শাহবাজ় আহমেদ ও সুমন্ত গুপ্ত। দ্বিতীয় দিনের শেষে শাহবাজ় ৬১ ও সুমন্ত ২৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। তৃতীয় দিন সেই জুটি এগিয়ে নিয়ে যান তাঁরা। সাবলীল ব্যাট করেন বাংলার দুই ক্রিকেটার। জুটি গড়ার পাশাপাশি দ্রুত রান তুলছিলেন দু’জনে।
দেখে মনে হচ্ছিল দুই ব্যাটারই শতরান করবেন। কিন্তু সুমন্ত ৯৭ রানে আউট হন। চলতি রঞ্জিতে আরও একটি ইনিংসে ৯০-এর ঘরে আউট হয়েছেন তিনি। শাহবাজ় শতরান হাতছাড়া করেননি। ১২২ বলে ১০১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। শেষ দিকে রাহুল প্রসাদের ২৮ ও মহম্মদ শামির ১৮ রান বাংলাকে ৪৪২ রানে নিয়ে যায়। প্রথম ইনিংসে ২৪২ রানের বিশাল লিড পায় বাংলা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শামির সামনে খেই হারায় অসমের টপ অর্ডার। নিজের প্রথম দুই ওভারে ঋষভ দাস ও সরুপম পুরকায়স্তকে আউট করেন শামি। রঞ্জিতে ছন্দ বজায় রেখেছেন এই ডানহাতি পেসার। প্রদ্যুন শইকীয়াকে আউট করেন সূরজ সিন্ধু জয়সওয়াল। মাত্র ৮ রানে ৩ উইকেট হারায় অসম।
আরও পড়ুন:
দেখে মনে হচ্ছিল, তৃতীয় দিনই বাংলার জিতে যাবে। কিন্তু সেই আশায় জল ঢালেন দেনীশ দাস ও অধিনায়ক সুমিত ঘাদিগাঁওকর। ৯০ রানের জুটি বাঁধেন তাঁরা। তৃতীয় দিনের শেষ পর্যন্ত তাঁদের আর আউট করতে পারেননি বাংলার বোলারেরা। দিনের শেষে অসমের রান ৩ উইকেটে ৯৮। দেনীশ ৬৩ ও সুমিত ৩০ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
তৃতীয় দিন সামলে দিলেও এখনও কঠিন পরিস্থিতিতে রয়েছে অসম। এখনও বাংলার থেকে ১৪৪ রানে পিছিয়ে তারা। অর্থাৎ, বুধবার ১৪৪ রানের মধ্যে অসমের বাকি ৭ উইকেট ফেলে দিলে ৭ উইকেটে জিতে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে নিজেদের জায়গা আরও পাকা করবেন অভিমন্যুরা। বাংলার পরের দুই ম্যাচ সার্ভিসেস ও হরিয়ানার বিরুদ্ধে। দু’টিই কঠিন ম্যাচ। তাই তার আগে অসমের বিরুদ্ধে ৭ পয়েন্ট পাওয়ার লক্ষ্যে নামবে বাংলা। তা হলে শামিদের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাবে।