অভিমন্যু ঈশ্বরণ। —ফাইল চিত্র।
প্রথমে বিহারকে ৯৫ রানে অল আউট করে দেয় বাংলা। ব্যাট করতে নেমে এর পর রান পেলেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ। দিনের শেষে তাঁর সঙ্গে ক্রিজ়ে রয়েছেন অভিজ্ঞ অনুষ্টুপ মজুমদার। এটাই মনোজ তিওয়ারির কেরিয়ার শেষ ম্যাচ। সেই ম্যাচ জিতে শেষ করতে চাইছে বাংলা।
বিহারের বিরুদ্ধে ওপেন করেন অভিমন্যু এবং শাকির হাবিব গান্ধী। বাংলার হয়ে রঞ্জি অভিষেক হল শাকিরের। গত মরসুমে বাংলার মূল সমস্যা ছিল ওপেনিং জুটি। এই মরসুমেও সেই সমস্যা কাটল না। শেষ ম্যাচেও ব্যর্থ বাংলার ওপেনিং জুটি। অভিমন্যু রান পেলেও মাত্র ১৯ রান করে আউট হয়ে যান শাকির। তিন নম্বরে সুদীপ ঘরামির বদলে নামা করণ লাল করেন ২৮ রান। ৪৮ রানে অপরাজিত অভিমন্যু। সঙ্গী অনুষ্টুপ। তিনি ১৩ রানে অপরাজিত।
ইডেনে রঞ্জি ট্রফির গুরুত্বহীন ম্যাচের শুরুতে বল হাতে দাপট দেখায় বাংলা। শুক্রবার বিহারের বিরুদ্ধে মুকেশ কুমার এবং সূরজ সিন্ধু জয়সওয়াল চারটি করে উইকেট নেন। তাঁদের দাপটে বিহারের ইনিংস শেষ ৯৫ রানে। গ্রুপ বি-র সব থেকে দুর্বল দল বিহার। ঘরের মাঠে তাদের বিরুদ্ধে প্রায় পূর্ণ শক্তি নিয়ে খেলতে নামা বাংলা যে দাপট দেখাবে সেটা অনেকেই মনে করছিলেন। শুক্রবার সেটাই দেখা গেল ইডেনে। শুরু থেকেই উইকেট নিতে শুরু করেন মুকেশ এবং সূরজ। এই দুই পেসার মিলে ৮ উইকেট তুলে নেন। একটি উইকেট নেন মহম্মদ কাইফ। রান আউট হয় একটি। তিন অঙ্কের রানেও পৌঁছতে পারেনি বিহার।
ভারতীয় দলে ছিলেন মুকেশ। কিন্তু তৃতীয় টেস্টে প্রথম একাদশে তিনি নেই। সেই কারণে বাংলার হয়ে খেলতে চলে আসেন মুকেশ। তিনি দলে ফিরতে বাংলার পেস আক্রমণের শক্তি বৃদ্ধি পায়। তাঁর সঙ্গে সূরজও পাল্লা দিয়ে চাপ তৈরি করেন বিহারের উপর। ইডেনে বিহারের কোনও ব্যাটারই দাঁড়াতে পারেননি।
দিনের শেষে বাংলার স্কোর ১১১/২। বিহারের থেকে ১৬ রানে এগিয়ে মনোজেরা। দ্বিতীয় দিনে বড় রানের লিড নিতে পারেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy