আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলছেন মার্নাস লাবুশেন এবং মার্কাস স্টোইনিস। ছবি: রয়টার্স।
একে ম্যাচে হার। তার উপর আবার ভুল আউট। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের জন্য লখনউ ম্যাচটা একেবারেই ভাল গেল না। দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ৩১২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭০ রানে ৬ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। টপ অর্ডারে কেউ রান পাননি। এমন অবস্থায় মার্কাস স্টোইনিসকে দেওয়া আউটের সিদ্ধান্ত নিয়ে তৈরি হল বিতর্ক।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল স্টোইনিসকে। প্রথম একাদশের বাইরে ছিলেন ক্যামেরন গ্রিন। কিন্তু বল হাতে ২ ওভারে ১১ দেওয়ার পর আর তাঁকে সুযোগ দেওয়া হয়নি। ব্যাট হাতে মাত্র ৫ রান করেই আউট হন অলরাউন্ডার স্টোইনিস। কাগিসো রাবাডার বল তাঁর গ্লাভসে লেগে উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি’ককের হাতে যায়। আউটের আবেদন করেন বোলার এবং উইকেটরক্ষক। কিন্তু মাঠের আম্পায়ার আউট দেননি। রিভিউ নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। তৃতীয় আম্পায়ার রিচার্ড কেটলবরো রিভিউয়ে দেখেন বল গ্লাভসে লেগে কিপারের হাতে গিয়েছে। ক্যাচও ঠিক মতো ধরা হয়েছে। তাই আউট দিয়ে দেন তিনি। কিন্তু স্টোইনিসকে একেবারেই খুশি দেখায়নি। তিনি বিরক্ত হয়ে মাঠ ছাড়েন। তাঁর যে গ্লাভসে বল লেগেছিল, সেটা সেই সময় ব্যাটের সঙ্গে লেগে ছিল না। তার পরেও আউট দেওয়ায় বিরক্ত হন স্টোইনিস।
আইসিসি-র নিয়ম কী বলছে? নিয়ম অনুযায়ী, এই ক্ষেত্রে ব্যাটার তখনই আউট হবেন, যখন বল লাগা গ্লাভসটি ব্যাট অথবা ব্যাট ধরে থাকা হাতের গ্লাভসের সঙ্গে লেগে থাকবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সেটা ছিল না। তৃতীয় আম্পায়ারের মনে হয়েছে বল লাগা গ্লাভসটি ব্যাট ধরে রাখা হাতের গ্লাভসে লেগে ছিল। সেই জন্য আউট দেন। কিন্তু স্টোইনিস একেবারেই খুশি হতে পারেননি।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ৩১১ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। কুইন্টন ডি’কক শতরান করেন। সেই রান তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৭৭ রানে। ১৩৪ রানে হেরে যায় অস্ট্রেলিয়া। স্বাভাবিক ভাবেই স্টোইনিসের আউট তাই বিতর্ক আরও বৃদ্ধি করেছে। ওই সময় স্টোইনিস আউট না হলে অস্ট্রেলিয়ার কাছে লড়াই করার সুযোগ থাকত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy