আগেই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন, বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ এক দিনের ম্যাচ খেলতে চলেছেন। সেই ম্যাচ খেলতে নামার আগে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সোফি ডিভাইন, যাঁকে মহিলাদের ক্রিকেটের অন্যতম সেরা চরিত্র হিসাবে ধরা হয়। ইংল্যান্ডের কাছে আট উইকেটে হেরে বিশ্বকাপ শেষ হল নিউ জ়িল্যান্ডের।
২০০৬-এর ২২ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এক দিনের ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল ডিভাইনের। ১৫৯টি ম্যাচে ৪২৭৯ রান করেছেন। ১১১টি উইকেটও রয়েছে। নিউ জ়িল্যান্ডের একমাত্র এবং মহিলাদের ক্রিকেটে তৃতীয় হিসাবে এক দিনের ক্রিকেটে ৪০০০-এর বেশি রান এবং ১০০-র বেশি উইকেট রয়েছে ডিভাইনের। ২০২০ থেকে নিউ জ়িল্যান্ডের অধিনায়ক তিনি। গত বছর দেশকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন। রবিবার নিজের ১৫৯তম তথা শেষ ম্যাচে ২৩ রান এবং একটি উইকেট নিয়েছেন তিনি।
টসের সময় তিনি বলেন, “আজ আমার কাছে দিনটা খুব আবেগের। চোখ দিয়ে জল বেরিয়েছে এটা অস্বীকার করছি না। তবে মাঠে নেমে ম্যাচটা উপভোগ করতে চাই এবং হাসিমুখে খেলতে চাই। সেরা সতীর্থদের সঙ্গে খেলতে পেরে আমি গর্বিত এবং সম্মানিত।”
টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নিউ জ়িল্যান্ড। সেই সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। শুরু থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে তারা। একমাত্র ওপেনার জর্জিয়া প্লিমার (৪৩) বাদে কেউ দাঁড়াতে পারেননি। টপ অর্ডার ফিরে যাওয়ার পর আর কেউ রুখে দাঁড়াতে পারেননি। ৩৮.২ ওভারে ১৬৮ রানে শেষ হয়ে যায় নিউ জ়িল্যান্ডের ইনিংল। লিনসে স্মিথ ৩টি উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট ন্যাট শিভার-ব্রান্ট এবং অ্যালিস ক্যাপসির।
আরও পড়ুন:
রান তাড়া করতে নেমে বিন্দুমাত্র সমস্যায় পড়তে হয়নি ইংল্যান্ডকে। প্রথম উইকেটেই উঠে যায় ৭৫ রান। ট্যামি বিউমন্ট (৪০) ফেরার পর হিদার নাইটের (৩৩) সঙ্গে ৮৩ রানের জুটি গড়েন অ্যামি জোন্স। তিনি ৯২ বলে ৮৬ রানে অপরাজিত থাকেন। শেষ বেলায় নাইট ফিরলেও ইংল্যান্ডের জিততে অসুবিধা হয়নি।
জিতে পয়েন্ট তালিকায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে টপকে দুইয়ে উঠে এল ইংল্যান্ড। তাতে অবশ্য সেমিফাইনালের সূচি পাল্টাচ্ছে না। ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম সেমিফাইনাল খেলবে ২৯ অক্টোবর, গুয়াহাটিতে।