বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির সময় মহম্মদ শামিকে চেয়েছিল ভারতীয় দল। গৌতম গম্ভীরেরা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিসিআই) অনুরোধ করেছিলেন শামিকে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানোর জন্য। কিন্তু সেই অনুরোধ নাকি রাখেননি শামি। টেস্ট খেলতে অস্ট্রেলিয়ায় যেতে রাজি হননি বাংলার জোরে বোলার।
২০২৩ সালে এক দিনের বিশ্বকাপ ফাইনালের পর চোটের জন্য দীর্ঘ দিন মাঠের বাইরে ছিলেন শামি। ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়ের সময় তিনি ছিলেন বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে (এনসিএ)। অনুশীলন শুরু করলেও ফিটনেসের সমস্যা ছিল তাঁর। তাই সে সময় টেস্ট ম্যাচ খেলার ধকল নিতে রাজি হননি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়ের দলে শামি জায়গা না পাওয়ার পর এমনই জানা গিয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, টেস্ট ক্রিকেটের ধকল নেওয়ার ব্যাপারে শামি নিশ্চিত না থাকায় ভারতীয় দলের অনুরোধ রাখেননি বছরের শুরুতে। সাদা বলের ক্রিকেট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে চেয়েছিলেন। তার পরেও ছ’মাস কেটে গিয়েছে। দেশের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলেছেন শামি। আইপিএল খেলছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে। তবু এখনও শামি ফিট নন টেস্টের জন্য। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়ের জন্য ভারতীয় দল ঘোষণার পর প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকর জানিয়েছেন, শামি এখনও পুরোপুরি ফিট নন। পরে তাঁকে ইংল্যান্ডে পাঠানো হতে পারে। ফলে শামির টেস্ট ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।
চোট সারিয়ে মাঠে ফেরার পর একটি মাত্র লাল বলের ম্যাচ খেলেছেন শামি। রঞ্জি ট্রফিতে বাংলার হয়ে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে খেলেছিলেন গত নভেম্বরে। সেই ম্যাচে ৪৩ ওভার বল করেন। এক প্রাক্তন জাতীয় নির্বাচক বলেছেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ়ে শামিকে পাওয়া যাচ্ছে না। তা হলে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কেন ওর কথা ভাবা হবে? আকাশ দীপ, অর্শদীপ সিংহ, মহম্মদ সিরাজ, হর্ষিত রানা, মুকেশ কুমারেরা আছে। জসপ্রীত বুমরাহের সঙ্গী হিসাবে ওদের কথা বিবেচনা করা হোক।’’
আইপিএলে শামির পারফরম্যান্সে খুশি নন নির্বাচকেরা। ন’টি ম্যাচ খেলে ছ’টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। চোটের জন্য শেষ দিকের কয়েকটি ম্যাচ খেলেননি। তার আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও চেনা ফর্মে পাওয়া যায়নি শামিকে। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করেছেন, ৩৪ বছরের এক জন জোরে বোলারের পক্ষে চোট সারিয়ে টেস্ট ক্রিকেট খেলা কঠিন। সে কারণেই হয়তো শামি নিজেই টেস্ট খেলার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
আরও পড়ুন:
সরকারি ভাবে শামির বয়স ৩৪। পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাঁর আসল বয়স নাকি প্রায় ৪০। বাংলার ক্রিকেট মহলে তেমনই শোনা যায়। তবু দেড় বছরেও শামি টেস্ট খেলার মতো ফিটনেস ফিরে না পাওয়ায় এনসিএর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে ক্রিকেট মহলের একাংশ।