৯৬১ দিন আগে ভারতের টেস্ট দলে প্রথম ডাক পেয়েছিলেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ। প্রায় তিন বছর ধরে দলের সঙ্গে ঘুরলেও অভিষেক হয়নি বাংলার ব্যাটারের। ওভালেও জায়গা পাননি তিনি। পুত্র সুযোগ না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ পিতা। গৌতম গম্ভীরদের দিকে আঙুল তুলেছেন অভিমন্যুর পিতা রঙ্গনাথন ঈশ্বরণ।
ওভালে ভারতীয় দলে ফিরেছেন করুণ নায়ার। আরও একটা সুযোগ দেওয়া হয়েছে সাই সুদর্শনকে। তা দেখেই প্রশ্ন তুলেছেন রঙ্গনাথন। ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’-কে তিনি বলেন, “আমি এখন আর দিন গুনি না। বছর গুনি। তিন বছর হয়ে গেল ও জায়গা পেল না। একজন ব্যাটারের কাজ কী? রান করা। অভিমন্যু সেটাই করেছে। তার পরেও জায়গা পায়নি। আমার ছেলেকে আর কী প্রমাণ দিতে হবে?”
গত বছরের শেষে অস্ট্রেলিয়া সফরের দলে ছিলেন অভিমন্যু। কিন্তু পাঁচটা টেস্টেই বেঞ্চে বসেছিলেন। ইংল্যান্ডেও সেটাই হল। এই দুই সিরিজ়ের মাঝে ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিমন্যু রান করেছেন। রঙ্গনাথনের প্রশ্ন, সেই রান কি কেউ দেখতে পাচ্ছেন না? রঙ্গনাথন বলেন, “গত অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে ভারত এ দলের হয়ে অভিমন্যু দুটো ম্যাচে রান পায়নি। তাই প্রথম একাদশে ঢুকতে পারেনি। মানলাম। কিন্তু সেই সিরিজ় ও ইংল্যান্ড সিরিজ়ের মাঝে দলীপ ও ইরানি ট্রফিতে ও ৮৬৪ রান করেছে। সেখানে তো করুণ খেলার সুযোগ পায়নি। তার মানে অভিমন্যুর করা রান কোনও গুরুত্ব পেল না।”
আরও পড়ুন:
রঙ্গনাথন জানিয়েছেন, বার বার অবহেলিত হওয়ায় অভিমন্যু হতাশ হয়ে পড়ছেন। সেটা দেখে তাঁর খারাপ লাগছে। পাশাপাশি আইপিএলের পারফরম্যান্স দেখে কাউকে টেস্ট দলে জায়গা দেওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন তিনি। রঙ্গনাথন বলেন, “ওরা করুণকে সুযোগ দিল। ও রঞ্জিতে ৮০০-র উপর রান করেছে। তাই নির্বাচকেরা ওর উপর ভরসা দেখিয়েছে। মেনে নিলাম। কিন্তু বার বার সুযোগ না পেয়ে আমার ছেলে হতাশ হয়ে পড়ছে। কয়েক জন আইপিএলে খেলে দলে ঢুকে যাচ্ছে। টেস্টের দল নির্বাচনের সময় আইপিএলের পারফরম্যান্স দেখাই উচিত নয়। রঞ্জি, দলীপ, ইরানি দেখে সুযোগ দেওয়া উচিত।” গত আইপিএলে কমলা টুপির মালিক সাই সুদর্শন টেস্ট দলে জায়গা পেয়েছেন। কিন্তু বড় রান করতে পারেননি তিনি। নাম না করে হয়তো সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন রঙ্গনাথন।
ঘরোয়া ক্রিকেটে ১০৩ ম্যাচে ৭৮৪১ রান করেছেন অভিমন্যু। ৪৮.৭০ গড়ে ২৭ শতরান ও ৩১ অর্ধশতরান করেছেন তিনি। গত ১০ ইনিংসে তিনি যথাক্রমে অপরাজিত ১২৭, ১৯১, ১১৬, ১৯, অপরাজিত ১৫৭, ১৩, ৪, অপরাজিত ২০০, ৭২ ও ৬৫ রান করেছেন। অর্থাৎ, গত ১০ ইনিংসে একটা দ্বিশতরান, চারটে শতরান ও দুটো অর্ধশতরান করেছেন বাংলার ব্যাটার। তার পরেও ভারতীয় দলে ব্রাত্য থেকে গিয়েছেন তিনি। এটাই মানতে পারছেন না তাঁর বাবা।