আম্পায়ার কি সুবিধা করে দিচ্ছেন ইংল্যান্ডের? অন্তত কুমার ধর্মসেনাকে নিয়ে সেই প্রশ্নই উঠেছে। প্রশ্ন তুলেছেন সঞ্জয় বাঙ্গার। ভারতের প্রাক্তন ব্যাটিং কোচের মতে, ইংল্যান্ডের সুবিধা করে দিচ্ছেন তিনি। এই ঘটনায় শুরু হয়েছে বিতর্ক।
ঠিক কী হয়েছে ওভালে? প্রথম দিন ভারতের ইনিংসের ১৩তম ওভারে ইংল্যান্ডের জশ টংয়ের একটা বল সাই সুদর্শনের প্যাডে লাগে। কিন্তু তার আগে বল ব্যাটের কানায় লাগে। বলের আঘাতে পড়ে যান সুদর্শন। ফলে খালি চোখে ধরা মুশকিল ছিল যে বল ব্যাটে লেগেছে। ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারেরা এলবিডব্লিউয়ের আবেদন করতে থাকেন। ধর্মসেনা আউট দেননি। পাশাপাশি তিনি হাতের ইশারায় বুঝিয়ে দেন, বল ব্যাটে লেগেছে।
যে হেতু খালি চোখে ততটা বোঝা যায়নি যে বল ব্যাটে লেগেছে, ইংল্যান্ড রিভিউ নিতে পারত। কিন্তু ধর্মসেনার ইশারার পর তারা আর রিভিউ নেয়নি। সেখানেই আপত্তি বাঙ্গারের। তাঁর মতে, ধর্মসেনার কোনও দরকার ছিল না ইশারা করার। তাতে ইংল্যান্ডের সুবিধা হল। তারা রিভিউ নিলে তা হারাতে হত। সেটা হল না।
আরও পড়ুন:
সম্প্রচারকারী চ্যানেলে ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় বাঙ্গার বলেন, “এই অভ্যাসগুলো ভাল নয়। ইশারায় বোঝানোর কোনও দরকার ছিল না। ধর্মসেনা যখন আম্পায়ারিং শুরু করেছিলেন তখন ডিআরএস ছিল না। তখন নিজের সিদ্ধান্তের পাশে যুক্তি দিতে হত। কিন্তু এখন তো ডিআরএস আছে। তাই বোলিং দলকে ইশারা করার কোনও মানেই নেই। ওদের নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে দেওয়া উচিত। ধর্মসেনা এটা ঠিক করেননি। উনি ইংল্যান্ডের সুবিধা করে দিয়েছেন।” ধর্মসেনার এই সিদ্ধান্তের ভিডিয়ো ভাইরাল সমাজমাধ্যমে। ভারতীয় সমর্থকেরাও এতে আপত্তি জানিয়েছেন। অনেকের প্রশ্ন, এই ধরনের ইঙ্গিত করার অধিকার কি আম্পায়ারদের রয়েছে? ফলে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
ক্রিকেটে এখন ডিআরএসের গুরুত্ব অনেক। টেস্টে প্রতি ইনিংসে তিনটে করে ডিআরএস থাকে। যদি ইংল্যান্ড ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিভিউ নিত, তা হলে তাদের একটা রিভিউ নষ্ট হত। সে ক্ষেত্রে আর দুটো রিভিউ বেঁচে থাকত তাদের। পরবর্তীতে রিভিউ নেওয়ার আগে ওলি পোপকে অনেক ভাবতে হত। কিন্তু ধর্মসেনার জন্য তা হল না। এতেই আপত্তি বাঙ্গারের।