ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করছেন সুনীল গাওস্কর। এ বার আরও একটা কারণে ক্ষুব্ধ তিনি। ঋষভ পন্থের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের বোলারেরা যা পরিকল্পনা করেছিলেন, তা মেনে নিতে পারেননি ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার। আইসিসি-র পুরুষদের ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে ক্রিকেটের নিয়ম বদলের আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
লর্ডসে প্রথম দিন জসপ্রীত বুমরাহের একটা বল ধরতে গিয়ে আঙুলে চোট পেয়েছেন পন্থ। ইনিংসের বাকি সময়ে তিনি আর খেলেননি। পরে ভারতের ইনিংস চলাকালীন পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন তিনি। পন্থ ব্যাট করতে নামার পর থেকেই ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারেরা তাঁক শর্ট লেংথে বল করা শুরু করেন। লেগ সাইডে ফিল্ডার রেখে ক্রমাগত তাঁর শরীর লক্ষ্য করে বল করা হচ্ছিল।
তৃতীয় দিনও সেই পরিকল্পনা ছাড়েনি ইংল্যান্ড। পন্থ বেশ কয়েকটা বলে বড় শট মারেন। কয়েকটা বল তাঁর আঙুলেও লাগে। একই জায়গায় বার বার লাগায় যন্ত্রণা বাড়ছিল পন্থের। ইংল্যান্ডের এই পরিকল্পনা মানতে পারেননি গাওস্কর। ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় তিনি বলেন, “ইংল্যান্ড এ দিন ৫৬ শতাংশ বল শর্ট লেংথে করেছে। লেগ সাইডে বাউন্ডারিতে চার জনকে রেখে ক্রমাগত বাউন্সার করেছে। আমার মতে, এটা ক্রিকেট নয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বোলারেরা যখন ক্রমাগত বাউন্সার করত তখন ওদের আটকাতে ওভারে দুটো বাউন্সারের নিয়ম করা হয়েছিল। তা হলে এখন কেন হবে না?”
আরও পড়ুন:
এখন আইসিসি-র পুরুষদের ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সৌরভ। পুরুষদের ক্রিকেটে কোনও নিয়ম বদল হবে কি না, তা দেখে এই কমিটি। সেই কারণেই সৌরভের কাছে আর্জি জানিয়েছেন গাওস্কর। তিনি বলেন, “খালি বাউন্সার করা হচ্ছে। দেখো, কেমন ফিল্ডিং সাজানো হয়েছে। লেগ সাইডে সাত জন ফিল্ডার। এটা ক্রিকেট নয়। লেগ সাইডে ছ’জনের বেশি ফিল্ডার থাকা উচিত নয়। আমি সৌরভের কাছে অনুরোধ করব, এই বিষয়টা দেখতে। পরের বার থেকে লেগ সাইডে ছ’জনের বেশি ফিল্ডার যাতে না রাখা যায় সেই নিয়ম করতে হবে।” গাওস্করের এই অনুরোধের জবাবে অবশ্য এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সৌরভ কোনও মন্তব্য করেননি।
পন্থকে শর্ট বলে সমস্যায় ফেলার চেষ্টা করলেও তাতে সফল হতে পারেনি ইংল্যান্ড। লর্ডসে হাতে চোট নিয়েই ১১২ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। আটটা চার ও দুটো ছক্কা মারেন তিনি। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগে একটা সিঙ্গল নিতে গিয়ে রান আউট হন তিনি। নইলে তাঁর কাছে সুযোগ ছিল শতরান করার। লোকেশ রাহুলের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ১৪১ রানের জুটি বাঁধেন পন্থ।