বাবর আজ়ম। —ফাইল চিত্র
পাকিস্তানে ‘খলনায়ক’-এর তকমা পাচ্ছেন বাবর আজ়ম। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ব্যর্থতার জন্য আঙুল উঠছে তাঁর দিকে। চাকরিও যেতে পারে তাঁর। এই পরিস্থিতিতে ভারতের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেবের সমর্থন পাচ্ছেন বাবর। কপিলের মতে, অধিনায়ক হিসাবে বাবরের সাফল্য রয়েছে। একটি প্রতিযোগিতায় খারাপ করলে তাতে প্রশ্ন তোলা যায় না।
একটি অনুষ্ঠানে কপিল জনান, বাবরই কিন্তু পাকিস্তানকে আইসিসি ক্রমতালিকায় ১ নম্বরে তুলেছিলেন। এর পরে তাঁর অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা উচিত নয়। কপিল বলেন, ‘‘এখন সবাই বলছে বাবর অধিনায়ক হিসাবে খারাপ। সবাই শুধু বর্তমান পরিস্থিতি দেখছে। এই বাবরই কিন্তু ছ’মাস আগে পাকিস্তানকে এক নম্বরে তুলেছিল। তখন সবাই বাবরকে কৃতিত্ব দিয়েছিল। ছ’মাসে এক জন অধিনায়ক ভাল থেকে খারাপ কী ভাবে হয়ে যায়?’’
কপিল মনে করেন, পাকিস্তান আবার জিততে শুরু করলে বা বাবর ভাল খেলতে শুরু করলেই মানুযের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যাবে। তিনি বলেন, ‘‘কোনও ভাল ব্যাটার শূন্য রানে আউট হলে সবাই তাকে বাদ দেওয়ার দাবি করে। আবার কোনও সাধারণ মানের ব্যাটার শতরান করলে সবাই তার প্রশংসা করে। আসলে সবাই এখনকার খেলা দেখে। অতীত কেউ মনে রাখে না। কিন্তু বাবরের মতো ব্যাটারদের শুধু বর্তমান নয়, অতীতটাও দেখা উচিত। দেশের জন্য ও কোন আবেগ নিয়ে খেলেছে সেটা দেখা উচিত।’’
পাকিস্তানে পা দেওয়ার পরেই বোর্ডকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে যান বাবর। মঙ্গলবার পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক ইউনিস খানের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন বোর্ডের চেয়ারম্যান জ়াকা আশরফ। পাকিস্তানের একটি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, দলের কোচদের চাকরি যাওয়ার মুখে। টিম ডিরেক্টর মিকি আর্থার, প্রধান কোচ গ্র্যান্ট ব্র্যাডবার্ন ও ব্যাটিং কোট অ্যান্ড্রু পুটিকের চাকরি যেতে পারে। দলের বোলিং কোচ মর্নি মর্কেল অবশ্য সোমবারই পদত্যাগ করেছেন।
বিশ্বকাপে দলের খারাপ পারফরম্যান্স খতিয়ে দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে। ঠিক কোন কোন জায়গায় বাবরেরা ভুল করেছেন তা পর্যালোচনা করে দেখবে বোর্ড। বাবরের চাকরিও চাপের মুখে। কারণ, তাঁকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি উঠেছে। যদিও বাবর নিজে জানিয়েছেন, অধিনায়কত্ব ছাড়তে চান না তিনি। এই অবস্থায় কপিলের সমর্থন পেলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy