ললিত মোদী। —ফাইল চিত্র।
দীর্ঘ দিন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সহ-সভাপতি ছিলেন তিনি। তাঁর মাথা থেকেই বেরিয়েছে আইপিএলের মতো প্রতিযোগিতার ভাবনা। আইপিএলের প্রথম চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি। সেই ললিত মোদী বিবাদে জড়িয়েছেন বাবার সম্পত্তি নিয়ে। ৩৪ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি নিয়ে মা ও ভাইয়ের সঙ্গে বিবাদ গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। সেই ঘটনায় এ বার মুখ খুললেন ললিতের মা বীণা মোদী।
‘গডফ্রে ফিলিপস’ সংস্থার চেয়ারপার্সন বীণা। তাঁর বিরুদ্ধে ললিত ও তাঁর ভাই সমীর অভিযোগ করেছেন যে, বাবার উইল অনুযায়ী কাজ করছেন না তিনি। সেই কারণেই বাধ্য হয়ে আইনি পথ নিতে হচ্ছে তাঁদের। এই বিষয়ে বীণা জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী কেকে মোদীর উত্তরাধিকার বিক্রি করা যাবে না। তিনি বলেন, “কেকে মোদীর উত্তরাধিকার বিক্রির জন্য নয়। একে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।”
চলতি মাসেই ‘গডফ্রে ফিলিপস’ সংস্থার চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হয়েছেন ৮০ বছরের বীণা। ৬ সেপ্টেম্বর ছিল সংস্থার বার্ষিক সাধারণ সভা। সেখানে সংস্থার ৭৫ শতাংশ মালিকানা পেয়েছেন বীণা। সেই সভাতেই বোর্ড সদস্যপদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সমীরকে। ললিত ও সমীরের মালিকানা এখন বীণার নামে রয়েছে। যদিও তিনি সন্তানদের সেই মালিকানা দেবেন বলে জানিয়েছেন। বীণা বলেন, “উইল অনুযায়ী প্রত্যেকে ২৫ শতাংশ করে পাবে। সমীর ও ললিতকে ওদের ভাগ দিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু আমি বেঁচে থাকতে সংস্থা বিক্রি হবে না। যদি অন্য কোনও ভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায় তা হলে আমার কোনও আপত্তি নেই।”
কেকে মোদীর উইল অনুযায়ী তাঁর সম্পত্তি স্ত্রী ও তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ করা হয়েছে। অর্থাৎ, প্রত্যেকে ২৫ শতাংশ করে পাবেন। সমীর ও ললিত ছাড়াও তাঁদের বোন চারুও সম্পত্তির সমান ভাগীদার। এই পরিস্থিতিতে তিনি মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সংস্থার ট্রাস্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে রয়েছেন বীণা। এই ট্রাস্ট ‘গডফ্রে ফিলিপস ইন্ডিয়া’র ব্যবসা সামলায়। সেখানে ৪৮ শতাংশ মালিকানা রয়েছে মোদীদের।
কয়েক দিন আগে দিল্লি হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন ললিতের পুত্র রুচির মোদী। তাঁর দাবি ছিল, পরিবারের ট্রাস্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পদ থেকে বীণাকে সরিয়ে দেওয়া হোক। সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। এই প্রসঙ্গে বীণা বলেন, “আমি এক দিনে এই ট্রাস্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হইনি। গত তিন-চার বছর ধরে ট্রাস্টে রয়েছি। কিন্তু এর আগে আমাকে দায়িত্ব নিতে হয়নি। আমার স্বামীর মৃত্যুর পরে আমি দায়িত্ব নিয়েছি। আমার সঙ্গে যাঁরা কাজ করেন প্রত্যেকে খুব দক্ষ। ওঁদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। এই সংস্থার উন্নতির জন্য যা প্রয়োজন সব করব।”
বীণা জানিয়েছেন, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরে সংস্থার বাজারদর বেড়েছে। মুনাফা বেড়েছে। সংস্থা ভাল ভাবে চলছে। এই সংস্থার উপর অনেক মানুষের জীবন নির্ভর করছে। তাই কোনও ভাবেই তিনি এই সংস্থাকে বিক্রি হতে দেবেন না। আদালতের বাইরে সমস্যা মেটাতে তিনি প্রস্তুত। এখন দেখার বীণার এই মন্তব্যের পরে সমীর ও ললিত কোন পথে এগোন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy