ওভাল টেস্টের দু’দিন আগে পিচ নির্মাতা লি ফর্টিসের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন গৌতম গম্ভীর। পিচ দেখতে যাওয়া নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা হয় দু’জনের। তবে এটাই প্রথম নয়। পিচ নির্মাতার সঙ্গে এর আগেও ঝামেলা হয়েছে গম্ভীরের। সেই ঘটনার কথা জানিয়েছেন বোর্ড এবং মুম্বইয়ের প্রাক্তন আম্পায়ার মার্কাস কুটো।
ঠিক ১১ বছর আগের একটি ঘটনার উল্লেখ করেছেন কুটো। ২০১৪-র ১ মার্চের ঘটনা। সে দিন গম্ভীরের সঙ্গে দিল্লির ফিরোজ শা কোটলা স্টেডিয়ামের পিচ নির্মাতা বেঙ্কট সুন্দরমের ঝামেলা দেখেছিলেন কুটো। গম্ভীর তখন ভারতের দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল খেলে দলে ফেরার চেষ্টা করছিলেন।
বিজয় হজারে ট্রফির একটি ম্যাচের আগে সুন্দরমের সঙ্গে ঝামেলা হয় গম্ভীরের। পিচ নিয়ে মোটেই খুশি ছিলেন না গম্ভীর। উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। এমনকি গম্ভীর সুন্দরমকে তাড়া করে মাঠ থেকে বার করে দিয়েছিলেন। ম্যাচ কোটলা থেকে সরিয়ে রোশনারা ক্লাবে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন তিনি। সুন্দরম অভিযোগ করেছিলেন, রঞ্জি ট্রফিতে তাঁকে গালিগালাজ করেছিলেন গম্ভীর। যদিও ভারতীয় দলের বর্তমান কোচ তা মানতে চাননি।
কুটো বলেছেন, “সত্যি বলতে, সেই পিচটা খুবই খারাপ ছিল। কোনও বল গোড়ালির উপরে উঠছিল না। পরে মাঠের মালিরা বললেন, গম্ভীর নাকি পিচ নির্মাতাদের উপর খুব চেঁচামেচি করেছে। ওভালের ঘটনা দেখে সে দিনের কথা মনে পড়ছে।”
আরও পড়ুন:
পিচ নির্মাতাদের সঙ্গে কোনও দলের কোচ বা অধিনায়কের ঝামেলা নতুন ঘটনা নয়। ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের তৎকালীন পিচ নির্মাতা সুধীর নায়েকের সঙ্গে ঝামেলা লেগেছিল শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক কুমার সঙ্গকারার। নায়েক শ্রীলঙ্কা দলকে নির্দেশ দিয়েছিলেন পিচ থেকে দূরে থাকতে। তার প্রতিবাদ করেন সঙ্গকারা। নায়েক বলেছেন, “ও আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, সচিন এলে তাকেও কি আমি পিচের কাছে আসতে বারণ করতাম? আমি উত্তর দিয়েছিলাম, ম্যাচের আগের দিন সচিন কখনওই পিচ দেখতে আসবে না।”