রান তাড়া করতে নেমে ২০ ওভারে ২০০ রানের উপর তোলা সব সময়ই কঠিন কাজ। আর উল্টো দিকে যদি মহম্মদ সিরাজ, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, রশিদ খানের মতো বোলারেরা থাকেন তা হলে কাজটা আরও বেশি কঠিন হয়ে যায়। যদিও গুজরাত টাইটান্স বেশ কিছু ক্যাচ ফেলে। তাতে ম্যাচ হাত থেকে বেরোয়নি। প্রথমে ব্যাট করে তারা অহমদাবাদের মাঠে ২১৭ রান তুলেছিল। জবাবে রাজস্থান রয়্যালস শেষ হয়ে গেল ৫৮ রানে।
গুজরাতের ব্যাটারেরা অর্ধেক কাজ করে রেখেছিলেন। অহমদাবাদে শুরুতে ঝড় তোলেন সাই সুদর্শন। তাঁর ব্যাটে ভর করেই ২১৭ রান তোলে গুজরাত। টস জিতে গুজরাতকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন রাজস্থানের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। শুরুতেই শুভমন গিলকে (২) বোল্ড করে দেন জফ্রা আর্চার। কিন্তু সেই ধাক্কা সঙ্গে সঙ্গে কাটিয়ে ওঠে গুজরাত। ঘরের মাঠে সুদর্শন এবং জস বাটলার মিলে ৮০ রানের জুটি গড়েন। ওভারপ্রতি ১০ রান করে তুলছিলেন তাঁরা। সেই জুটি ভাঙেন মাহেশ থিকসানা।
বাটলার ৩৬ রান করে আউট হলেও রানের গতি কমতে দেননি শাহরুখ খান। ২০ বলে ৩৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন তিনি। শাহরুখের উইকেটটিও নেন থিকসানা। পরের দিকে নেমে রাহুল তেওয়াটিয়া (১২ বলে ২৪ রান) এবং রশিদ খানও (৪ বলে ১২ রান) দ্রুত রান তোলেন। গুজরাতের হয়ে সেরা ইনিংসটি যদিও খেলেন ওপেন করতে নামা সুদর্শন। ৫৩ বলে ৮২ রান করেন তিনি। তিনটি ছক্কা এবং আটটি চার মারেন তামিলনাড়ুর এই ক্রিকেটার। ২০ ওভারে ২১৭ রান তোলে গুজরাত।
আরও পড়ুন:
রান তাড়া করতে নামা রাজস্থানের প্রথম উইকেটটি তোলেন আরশাদ খান। যশস্বী জয়সওয়াল (৬) গত ম্যাচে রান পেলেও বুধবার পারলেন না। নীতীশ রানাকে (১) আউট করেন মহম্মদ সিরাজ। ২১৮ রানের বোঝা মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ১২ রানের মধ্যে দলের দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে হারায় রাজস্থান। অধিনায়ক সঞ্জু এবং সহ-অধিনায়ক রিয়ান পরাগ মিলে চেষ্টা করেছিলেন ধাক্কা সামলানোর। ৪৮ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। কিন্তু কুলওয়ান্ত খেজরোলিয়ার বলে খোঁচা দিয়ে ফিরে যান রিয়ান। উইকেটরক্ষক জস বাটলারের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। যদিও রিয়ানের দাবি, বল তাঁর ব্যাটে লাগেনি। ব্যাটটি মাটিতে লেগেছিল। সেই আওয়াজ ধরা পড়ে স্নিকোমিটারে। সেই আওয়াজের ভিত্তিতে রিয়ানকে আউট দেওয়া হয়।
রান পাননি ধ্রুব জুরেল (৫) এবং ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার হিসাবে নামা শুভম দুবে। অধিনায়ক সঞ্জুকে (৪১) ফেরান প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ। গুজরাতের সব বোলারই উইকেট নিয়েছেন। শুভমন স্বস্তি পাবেন রশিদ খান উইকেট পাওয়ায়। তিনি বুধবার তুলে নেন জুরেল এবং শুভমের উইকেট। তিনটি উইকেট নেন প্রসিদ্ধ। তিনি এবং রশিদ মিলেই রাজস্থানের রান তোলার পথে বড় বাধা হয়ে ওঠেন।