নির্বাসন থেকে মুক্তি পেয়ে আবার মাঠে ফিরতে চলেছেন কাগিসো রাবাডা। মুম্বই ইন্ডিয়ানসের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাঠে নামতে পারেন গুজরাত টাইটানসের
এই পেসার।
গুজরাতের হয়ে দু’টি ম্যাচ খেলার পরে দেশে ফিরে যান রাবাডা। দলের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়েছিল, ব্যক্তিগত কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা ফিরে গিয়েছেন এই পেসার। দিন কয়েক আগে রাবাডা এক বিবৃতিতে জানান, তিনি বিনোদনমূলক ড্রাগ সেবন করেছিলেন। যে কারণে সাময়িক নির্বাসনে রয়েছেন। এর মধ্যে আবার ভারতে ফিরে আসেন দক্ষিণ
আফ্রিকার পেসার।
দক্ষিণ আফ্রিকার ড্রাগ মুক্ত ক্রীড়া সংগঠন (সেইড)-এর তরফে সোমবার এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মাদক সেবনের জন্য এক মাস নির্বাসনে ছিলেন রাবাডা। তাঁর শাস্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই তিনি মাঠে ফিরতে পারেন। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা লিগে ২১ জানুয়ারির ম্যাচ খেলার পরে ডোপ টেস্টে ব্যর্থ হন রাবাডা। কিন্তু তিনি পারফরম্যান্স বর্ধক ড্রাগ নেননি। নিয়েছিলেন ‘রিক্রিয়েশনাল ড্রাগ’। পয়লা এপ্রিল ওই রিপোর্টের কথা জানানো হয় রাবাডাকে। তার পরে তিনি দেশে ফিরে আসেন। বিবৃতি অনুযায়ী, এর পরে রাবাডা ডোপ বিরোধী সচেতনতামূলক কর্মসূচিতে অংশ নেন। এর মধ্যে এক মাস নির্বাসনের মেয়াদ শেষ হয় রাবাডার। তার পরে রাবাডাকে মাঠে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড আলাদা করে রাবাডাকে শাস্তি দেবে, সেই সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। বোর্ডের পক্ষ থেকে এই ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করা হয়েছে।
গুজরাত টাইটানসের ডিরেক্টর অব ক্রিকেট বিক্রম সোলাঙ্কি জানিয়েছেন, রাবাডাকে নিয়ে আর কোনও সমস্যা নেই। এই পেসারকে অবশ্যই চূড়ান্ত এগারো বাছার সময় বিবেচিত করা হবে। সোমবার মুম্বইয়ে সোলাঙ্কি বলেছেন, ‘‘কাগিসো এখন মুক্ত। কাল প্রথম একাদশ বাছার সময় অবশ্যই ওর নাম বিবেচনা করা হবে। পুরো ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ
করেছে কাগিসো।’’
গুজরাত বনাম মুম্বই ম্যাচে যে জিতবে, তারাই কিন্তু প্লে অফে ওঠার দৌড়ে অনেকটা এগিয়ে যাবে। গুজরাত এবং মুম্বই, দু’টো দলই পেয়েছে ১৪ করে পয়েন্ট। তবে গুজরাত ১০ ম্যাচে, মুম্বই ১১ ম্যাচে এই পয়েন্ট পেয়েছে। কিন্তু শেষ পাঁচটা ম্যাচ জিতে দুরন্ত ছন্দে আছে মুম্বই। রোহিত শর্মা রান পাচ্ছেন। ট্রেন্ট বোল্ট উইকেট পাচ্ছেন। যশপ্রীত বুমরা আগুনে বল করছেন। এই মুহূর্তে মুম্বইকেই সবচেয়ে
ভয়ঙ্কর দেখাচ্ছে।
ওয়াংখেড়েতে তাই লড়াইটা সহজ হবে না শুভমন গিলদের।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)