খোরপোশের মামলায় কলকাতা হাই কোর্টে স্বস্তি পেয়েছেন হাসিন জাহান। তার পর আবার প্রাক্তন স্বামী মহম্মদ শামির বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তিনি। জাহানের অভিযোগ, শামিই তাঁকে গৃহবধূ হয়ে থাকতে বাধ্য করেছিলেন। রোজগারের পথ বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
আদালতের রায়ে খুশি জাহান। তিনি সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেছেন, ‘‘বিয়ের আগে মডেলিং করতাম। অভিনয় করতাম। শামি আমাকে কাজ বন্ধ করতে বাধ্য করেছিল। গৃহবধূ হিসাবে জীবনযাপন করতে বাধ্য করেছিল। ওকে খুব ভালবাসতাম। তাই খুশি মনে মেনে নিয়েছিলাম।’’ বাংলার জোরে বোলারের প্রাক্তন স্ত্রী আরও বলেছেন, ‘‘এখন আমার কোনও রোজগার নেই। আমাদের সব খরচের দায়িত্ব শামিকেই নিতে হবে। কিন্তু ও খোরপোশের টাকা দিতে অস্বীকার করেছিল। সে জন্যই আমাকে আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছিল। ঈশ্বরকে অনেক ধন্যবাদ। আমাদের দেশে এখনও আইন আছে, যা সকলকে নিজের নিজের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেয়।’’
প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে আরও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন জাহান। তিনি বলেছেন, ‘‘কোনও সম্পর্ক শুরুর সময় সব কিছু বোঝা সম্ভব নয়। কারও মুখে লেখা থাকে না, সে কেমন মানুষ বা তার চরিত্র কেমন। তার মনে অপরাধপ্রবণতা থাকলেও বোঝা যায় না। আমার এবং সন্তানের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে দেওয়া হয়েছে। আমি ভুক্তভোগী। ও (শামি) নিজের সন্তানেরও সুখ, সুন্দর ভবিষ্যৎ দেখতে চায় না। আমার জীবন নষ্ট করতে চায়। কিন্তু পারবে না। কারণ আমি সত্যের পথে আছি। শামি অন্যায়ের পথে রয়েছে।’’
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অজয় কুমার মুখোপাধ্যায় মাসে মোট ৪ লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ভারতীয় দলের ক্রিকেটারকে।ভরণপোষণ বাবদ প্রাক্তন স্ত্রীকে মাসে দেড় লাখ টাকা দিতে হবে শামিকে। মেয়ের জন্য মাসে দিতে হবে আরও আড়াই লাখ টাকা করে। চাইলে মেয়ের পড়াশোনা বা অন্য প্রয়োজনে আরও টাকা খরচ করতে পারবেন ভারতীয় দলের ক্রিকেটার।