সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর আসল কারিগর ছিলেন তিনি। তাঁর ১২৭ রানে ভর করেই ৩৩৯ রান তাড়া করে জিতেছিল ভারত। সেই জেমাইমা রদ্রিগেজ় বিশ্বকাপের মাঝে নিজের কান্নার কাহিনি শুনিয়েছেন। এ বার তাঁর কোচ প্রশান্ত শেট্টি প্রকাশ্যে আনলেন, কী ভাবে ছাত্রীর সঙ্গে একটি ফোন কল জেমাইমার আত্মবিশ্বাস ফিরিয়েছে।
বিশ্বকাপের শুরুতে দু’টি শূন্য করেছিলেন জেমাইমা। দু’বার ৩০-এর ঘরে আউট হয়েছেন। ইংল্যান্ড ম্যাচে তাঁকে বাদই দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে ফিরে কী ভাবে নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে অর্ধশতরান এবং অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শতরান করলেন, তার রহস্য খোলসা করেছেন কোচ।
‘নিউজ় ১৮’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত বলেছেন, “ও খুব হতাশ হয়ে পড়েছিল। সময়টা ভাল যাচ্ছিল না। নিজের নিয়ন্ত্রণে যা ছিল সেটা নিয়েই ওকে ভাবতে বলেছিলাম। ভারত বিশ্বকাপে টিকে ছিল। তাই জেমাইমাকে বলেছিলাম মনকে চাঙ্গা রাখতে। ক্রিকেটে যখন খুশি যে কোনও কিছু বদলে যেতে পারে। আমরা আলোচনা করেছিলাম যে, তিন নম্বর থেকে হঠাৎ করেই ও দ্বাদশ ব্যক্তি হয়ে গিয়েছে। তার মানে এই নয় যে দল থেকেই বাদ পড়ে গিয়েছে। কম্বিনেশন বদলালে যে কোনও দিন ও দলে ফিরতে পারে। দুঃখ পাওয়ার থেকে নিজেকে তৈরি রাখা যে বেশি দরকার এটা ওকে বোঝাতে পেরেছিলাম।”
আরও পড়ুন:
নিজেকে প্রমাণ করার তাগিদ ছিল বলেই যে জেমাইমা কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন বলে মনে করেন কোচ। প্রশান্তের কথায়, “ওটা আনন্দাশ্রু ছিল। বড় ম্যাচে রান তাড়া করতে গিয়ে যখন ভারত হেরেছে, তখনও ও কেঁদেছিল। আগের বিশ্বকাপগুলো দেখলে বুঝবেন, আমরা জিততে পারতাম। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছি। এই অনুভূতিগুলোই ওর আবেগ বার করে এনেছিল। বিশ্বকাপ নিয়ে খুব উত্তেজিত ছিল। কিন্তু ভাল খেলতে পারছিল না। বাদও পড়েছিল। তাই অনেক আবেগ জেমাইমার ভেতরে জমে ছিল।”