দুই আম্পায়ার জাসমিন এবং নঈম। ছবি: নঈমের ইনস্টাগ্রাম থেকে।
ইতিহাস তৈরি করতে চলেছেন দুই আম্পায়ার নঈম আশরাফ ও জাসমিন নঈম। শনিবার রেচেল হেহো ফ্লিন্ট ট্রফিতে লাইটনিং এবং ওয়েস্টার্ন স্টর্মের ম্যাচ খেলাবেন তাঁরা। দু’জনে স্বামী-স্ত্রী। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড স্বীকৃত কোনও ম্যাচে এই প্রথম কোনও দম্পতিকে এক সঙ্গে আম্পায়ারিং করতে দেখা যাবে। ইংল্যান্ডের লাফবরোতে খেলা নিয়ে যত না উৎসাহ তৈরি হয়েছে, তার থেকে অনেক বেশি আগ্রহ আম্পায়ারিং নিয়ে। দু’সপ্তাহ আগে ছিল তাঁদের ২৩তম বিবাহবার্ষিকী। তার ঠিক পরেই জাসমিন টনটনে ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মহিলা দলের টেস্ট ম্যাচে আম্পায়ারিং করেন।
ইতিহাস তৈরি করতে পেরে খুশি জাসমিন বলেন, ‘‘ল্যাঙ্কাশায়ার ও গ্রেটার ম্যাঞ্চেস্টারে আমরা এক সঙ্গে অনেক ম্যাচ খেলিয়েছি। তখন কেউ বুঝতেই পারেননি আমরা বিবাহিত। এ বার বড় মঞ্চে সুযোগ পেয়ে আমরা দু’জনেই সম্মানিত।’’
নঈম পাকিস্তানের হয়ে খেলেছেন। আকস্মিক চোটে খেলা ছাড়তে বাধ্য হন। আম্পায়ারিং শুরু করেন। যে প্রসঙ্গে জাসমিন বলেন “আমরা অনেক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। কিন্তু নঈম ক্রিকেট ছাড়তে চায়নি। ও যখন স্টেজ থ্রি কোর্সটা করছে, দেখলাম হাতের ব্যথা তখনও যায়নি। হাত তুলতে পারছিল না। লিখতে কষ্ট হচ্ছিল ওর। আমি ঠিক করলাম ওর হয়ে নোট লিখে দেব। সেটা করতে গিয়ে দেখলাম, আরে, আমি তো অনেক কিছুই জানি। যিনি আমাদের মাস্টারমশাই ছিলেন, তিনি আমাকেও আম্পায়ারিং শিখতে বললেন। শুরুতে ‘না’ বলে দিয়েছিলাম। নঈম এক দিন বলল, আমারও আম্পায়ারিংয়ে আসা উচিত। বলল, মহিলাদের সামনে দৃষ্টান্ত তুলে ধরা উচিত। আমার স্বামীর জন্যই আজ আমি আম্পায়ার হতে পেরেছি।’’
শনিবার মাঠে বসে মা-বাবার আম্পায়ারিং দেখবেন তিন ছেলে শাহজায়েব, উমের এবং জাহির। গত বছর লর্ডসে প্রথম ব্রিটিশ মুসলিম মহিলা আম্পায়ার হিসেবে ম্যাচ পরিচালনা করে ইতিহাসের একটা পর্ব ইতিমধ্যেই লেখা হয়ে গিয়েছে জাসমিনের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy