শুভমন গিল। —ফাইল চিত্র।
ভারতের ক্রিকেট দল কোনও কোনও ক্রিকেটারের কাছে কোচিং ক্লাসের মতো! ভারতীয় দলের কেউ শেখান, কেউ শেখেন। তেমনই এক জন হলেন শুভমন গিল। তিনি আছেন দ্বিতীয় দলে। দুই সতীর্থের খেলা দেখে ব্যাটিং শেখার চেষ্টা করেন।
২২ গজে থাকুন বা সাজঘরে দু’জন ব্যাট করতে নামলে প্রতিটি বল শুভমন দেখেন মন দিয়ে। ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে শুভমন নিয়ে অর্ধশতরান করেছেন। ২ রানের জন্য অর্ধশতরান করতে পারেননি রোহিত শর্মা। ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন বিরাট কোহলি। দুই সিনিয়র সতীর্থকে নিয়ে শুভমন বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপের ম্যাচ বা যে কোনও বড় ম্যাচে আমার নজর থাকে কোহলি এবং রোহিতের দিকে। ওরা কী ভাবে ব্যাটিং করে দেখি। সব সময় ওদের ব্যাটিং দেখে শেখার চেষ্টা করি। কখন আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করা দরকার আর কখন রক্ষণাত্মক খেলা উচিত, এটা ঠিক করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই দু’রকম ব্যাটিংয়ের মাঝে একটা সুক্ষ লাইন রয়েছে। সেটা বোঝা ভীষণ জরুরি। ওরা দু’জনের খেলা দেখে সেটাই শেখার চেষ্টা করি। ব্যাট করার সময় ওদের মানসিকতা বোঝার চেষ্টা করি। এ গুলো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কাজে লাগে।’’
শুভমনের মতে, দলে কোহলি এবং রোহিতের মতো ব্যাটার থাকলে অন্যরাও অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়ে ব্যাট করতে পারেন। তিনি বলেছেন, ‘‘ওরা যে রকম আত্মবিশ্বাস নিয়ে রান তোলে, সেটাও শেখার।’’
ডেঙ্গি হওয়ায় বিশ্বকাপের প্রথম দু’টি ম্যাচ খেলতে পারেননি শুভমন। সেই আক্ষেপ রয়েছে তাঁর মধ্যে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিজের ইনিংসে অবশ্য তিনি খুশি। শুভমন বলেছেন, ‘‘অবশ্য দারুণ অনুভূতি হচ্ছে। অসুস্থ থাকার সময় খুব হতাশ লাগছিল। সুযোগ নষ্ট হলে কার আর ভাল লাগে? তবে দ্রুত ফিরে আসতে পেরেছি। এটাই স্বস্তির।’’
ভারতীয় দল বিশ্বকাপের চারটি ম্যাচও জিতলেও একটি উদ্বেগ রয়েছেন শুভমনের। কারণ প্রতিটি ম্যাচেই রান তাড়া করে জিতেছেন রোহিতেরা। প্রথমে ব্যাট করে বোলারদের লড়াই করার জন্য তাঁরা কত রান তুলতে পারবেন, তা এখনও পরীক্ষিত নয়। এই বিষয়টিই ভাবাচ্ছে শুভমনকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy