Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Dave Houghton

India vs Zimbabwe: আগামী দিনে ফুটবলের পথে হাঁটবে ক্রিকেট, দাবি জিম্বাবোয়ের কোচের

হটনের মতে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট আরও বাড়বে। কমবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সংখ্যা। বছরে হয়তো তিন মাস আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা হবে আগামী দিনে।

আইপিএলের পথেই হাঁটবে ক্রিকেট। এমনই মনে করছেন জিম্বাবোয়ে কোচ হটন।

আইপিএলের পথেই হাঁটবে ক্রিকেট। এমনই মনে করছেন জিম্বাবোয়ে কোচ হটন। ফাইল ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২২ ১৩:১০
Share: Save:

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটই ভবিষ্যৎ। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগই ক্রিকেটের পরিণতি। আইপিএলের দেখানো পথেই হাঁটবে ক্রিকেট। এমনই মনে করছেন জিম্বাবোয়ের কোচ ডেভ হটন।

হটন মনে করছেন, ক্রিকেট ক্রমশ ফুটবলের পথে এগিয়ে চলেছে। গোটা বিশ্বেই ক্রিকেট দ্রুত বদলাচ্ছে। তিনি বলেছেন, ‘‘অনেকেই অনেক কিছু বলছেন। সারা বছর প্রচুর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হচ্ছে এখন। আমার মনে হয় এই অবস্থা বদলাবে। ফুটবলের পথেই হাঁটবে ক্রিকেট। সর্বত্রই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট আরও বাড়বে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য হয়তো তিন মাস থাকবে। এটা অবশ্য আমার ব্যক্তিগত মত।’’

জিম্বাবোয়ের প্রাক্তন টেস্ট অধিনায়ক হটন। ভারতের বিরুদ্ধে হারারেতে খেলেছিলেন ১২১ রানের টেস্ট ইনিংস। তার পর কেটে গিয়েছে ৩০ বছর। এখন জিম্বাবোয়ে দলের কোচ। এক দিনের সিরিজে সামনে আবার সেই ভারত। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার জিম্বাবোয়ের জাতীয় দলকে কোচিং করাচ্ছেন। দায়িত্ব নিয়ে ক্রিকেটারদের ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলার মন্ত্র দিয়েছেন হটন।

সুফলও পেয়েছেন। ২০১৭ সালের পর প্রথম কোনও টেস্ট খেলিয়ে দেশের বিরুদ্ধে সম্প্রতি এক দিনের সিরিজ জিতেছে জিম্বাবোয়ে। জয় এসেছে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও। বাংলাদেশকে হারানোর পর ভারতের বিরুদ্ধেও সিরিজ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হটন। তিনি বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশ দল হিসাবে ভাল। সাদা বলের ক্রিকেটে তো বেশ ভাল। আমরাও আগ্রাসী ক্রিকেট খেলেছি। তাতেই সাফল্য এসেছে। ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ আমাদের জন্য বড় পরীক্ষা। এই সিরিজ থেকেই বুঝতে পারব, আমরা এগোতে পেরেছি না কি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সাফল্য সাময়িক ঝলক।’’

তাঁর ক্রিকেট-দর্শনের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে ব্রেন্ডন ম্যাকালামের বাজবল তত্ত্বের। হটন মানতে চাননি। তিনি বলেছেন, ‘‘এই তুলনার কোনও অর্থ নেই। ম্যাকালাম ইংল্যান্ডের টেস্ট দলকে নিয়ে কাজ করছে। আমি চাই ২২ গজে সব সময়ই সাহসী থাকুক ক্রিকেটাররা। সে ভাবেই নিজেদের প্রয়োগ করুক। ঘরোয়া ক্রিকেটে ওরা যে রকম আগ্রাসী শট খেলে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও তেমনই খেলতে বলেছি। অনেকেই রিভার্স সুইপ বা অন্য ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলতে ভয় পেত। দল থেকে বাদ যাওয়ার আশঙ্কায় থাকত। আমি ছেলেদের সেই নিশ্চয়তা দিয়েছি।’’

এক সময় জিম্বাবোয়ের ক্রিকেট যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল। কিন্তু এখন আর তেমন ভাল মানের ক্রিকেটার কেন উঠে আসছে না? জিম্বাবোয়ে ক্রিকেটের সঙ্গে প্রায় অর্ধশতক প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িয়ে থাকা ৬৪ বছরের হটন বলেছেন, ‘‘আমাদের সময় দলটা বেশ শক্তিশালী ছিল। অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ছিল দলে। আসলে আমরা ঘরোয়া ক্রিকেটকে তেমন গুরুত্ব দিতে পারিনি। জিম্বাবোয়ের ক্রিকেট ক্লাবগুলোর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল। অনেক ভাল ক্রিকেটার ইংল্যান্ডে চলে গিয়েছে পাকাপাকি ভাবে। সব কিছু মিলিয়েই সমস্যা তৈরি হয়েছিল। ২০০৩ সাল থেকে আমরা আবার নতুন ভাবে শুরু করেছি। তার ফলে বেশ কয়েক জন ভাল ক্রিকেটার উঠে এসেছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE