পন্থ এবং কার্তিক দু’জনকেই তৈরি রাখতে চাইছেন রোহিত। ছবি: টুইটার।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের প্রথম একাদশে উইকেট রক্ষক হিসাবে কে থাকবেন তা নিয়ে চলছে জল্পনা। লড়াই ঋষভ পন্থ এবং দীনেশ কার্তিকের। দু’জনেই আগ্রাসী ব্যাটিং করতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ় শেষে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত দিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
রবিবারের ম্যাচের পর রোহিত জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে কার্তিক এবং পন্থকে যতটা সম্ভব বেশি দিতে চান। রোহিত বলেছেন, ‘‘আমি চাই বিশ্বকাপের আগে ওদের দু’জনকে পর্যাপ্ত ম্যাচ খেলাতে। এশিয়া কাপের সময়ও ওদের সব ম্যাচ খেলানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।’’ রোহিত মেনে নিয়েছেন, কার্তিক ব্যাটিং করার যথেষ্ট সময় পাচ্ছেন না। তিনি বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয় ম্যাচের মধ্যে কার্তিকের আরও একটু সময় পাওয়া দরকার। অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়ে ও খুব বেশি ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায়নি। বোধহয় মাত্র কয়েকটা বল খেলার সুযোগ পেয়েছে। এটা একদমই যথেষ্ট নয়।’’
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে প্রথম একাদশে ছিলেন পন্থ। তিনি ব্যাট করার সুযোগই পাননি। এই সিরিজ়ে কার্তিক সব মিলিয়ে খেলেছেন সাত বল। এই বিষয়টাই চিন্তায় রেখেছে ভারতীয় দলের অধিনায়ককে। তিনি মনে করছেন, পন্থ এবং কার্তিক যথেষ্ট সময় ব্যাট করার সুযোগ না পেলে সমস্যা হবে পারে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়। রোহিত বলেছেন, ‘‘পন্থেরও খেলার পর্যাপ্ত সময় প্রয়োজন। আবার একটা নির্দিষ্ট ব্যাটিং লাইন আপ বজায় রাখাও গুরুত্বপূর্ণ।’’
বুধবার থেকে শুরু হবে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ়। বিশ্বকাপ খেলতে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার আগে এই সিরিজ়ই ভারতীয় দলের পরীক্ষা-নিরীক্ষার শেষ সুযোগ। এই সিরিজ়ে প্রথম একাদশে কি তবে দুই উইকেট রক্ষক-ব্যাটারকেই দেখা যাবে? রোহিত তেমন নিশ্চয়তা দেননি। প্রতিপক্ষ এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রথম একাদশ বেছে নেওয়ার পক্ষে তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ় নিয়ে রোহিত বলেছেন, ‘‘জানি না এই সিরিজে আমরা কী করব। প্রথমে ওদের বোলিং আক্রমণ দেখতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকা কোন বোলারদের খেলাবে, তার উপর নির্ভর করবে। ওদের বোলিং আক্রমণ সামলানোর জন্য যারা সব থেকে উপযুক্ত হবে, তারাই খেলবে। আমরা ব্যাটিং নিয়ে নমনীয় থাকতে চাইছি। পরিস্থিতি যদি কোনও বাঁহাতি ব্যাটার দাবি করে, তা হলে আমরা বাঁহাতি ব্যাটারকে খেলাব। ডানহাতি ব্যাটারের প্রয়োজন হলে সে ভাবেই পরিকল্পনা হবে।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আমরা ওদের সাবধানে ব্যবহার করতে চাইছি। বিশ্বকাপের আগে ওদের দু’জনেরই খেলার সুযোগ পাওয়াটা জরুরি। যদিও ১১ জনের বেশি ক্রিকেটারকে খেলানোর সুযোগ নেই একটা ম্যাচে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy