কিছু দিন ধরে ফর্মে ছিলেন না মহম্মদ সিরাজ। ভারতীয় দল থেকে বাদ না পড়লেও প্রথম একাদশে নিয়মিত জায়গা হচ্ছিল না হায়দরাবাদের জোরে বোলারের। মাঝে মধ্যে তাঁকে সাজঘরে কাটাতে হচ্ছিল। ফর্মে ফেরার জন্য সিরাজ বেছে নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া সফরকে। দেশ ছাড়ার আগে তিনি পরামর্শ নেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের বোলিং কোচের। তাঁর পরামর্শেই পার্থ টেস্টে আবার চেনা ফর্মে দেখা গিয়েছে সিরাজকে।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের আগে ফর্মে ফেরার রহস্য ফাঁস করেছেন সিরাজ। ভারতীয় বোলিং আক্রমণের অন্যতম ভরসা বলেছেন, ‘‘ফর্মে ফেরার জন্য আমি ভরত অরুণ স্যরের সঙ্গে যোগাযোগ করি। এখন উনি কেকেআরের বোলিং কোচের দায়িত্বে আছেন। ভারতীয় দলের বোলিং কোচ থাকার সময় থেকেই অরুণ স্যরের সঙ্গে আমার ভাল সম্পর্ক। অরুণ স্যরও আমাকে দীর্ঘ দিন দেখছেন। আমার বল করার ধরন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। উনি বলেছিলেন, মনের আনন্দে বল করতে। উইকেট পাওয়ার জন্য বেশি চেষ্টা করার দরকার নেই। ঠিক মতো বল করলে উইকেট ঠিকই আসবে। স্যরের পরামর্শ মেনেই সাফল্য পাচ্ছি।’’ সিরাজ আরও বলেছেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়ায় আসার আগে আমাদের ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপের সঙ্গেও দেখা করেছিলাম হায়দরাবাদে। দিলীপ স্যরের কাছে অনুশীলন করেছি করেক দিন। স্যরদের পরামর্শ মেনে অনুশীলন বেশ উপভোগ করেছিলাম। এখন তারই ফল পাচ্ছি।’’
উইকেট পাচ্ছিলেন না বলে কি চাপ তৈরি হচ্ছিল? সিরাজ সরাসরি এই প্রশ্নের উত্তর দেননি। তিনি বলেছেন, ‘‘বল করে আগের মতো উপভোগ করছিলাম না। নিজেই বুঝতে পারছিলাম, ঠিক মতো হচ্ছে না সব কিছু। ভাল বল করলে উপভোগ করি। তখন উইকেট না পেলেও খারাপ লাগে না। পার্থক্যটা নিজে বুঝতে পারি। আবার উইকেট না এলে বোঝার চেষ্টা করি, কেন উইকেট পাচ্ছি না। ভারতের উইকেটে স্পিনারেরা বেশি বল করার সুযোগ পায়। পাঁচ-ছ’ওভার বল করে উইকেট পাওয়া কঠিন। তাতে অনেক সময় হতাশ লাগে। এখন আর সমস্যা নেই। সব কিছুই বেশ উপভোগ করছি।’’
ভারতীয় দলের বোলিং কোচ মর্নি মর্কেলের সঙ্গে কথা বলেননি? সিরাজ বলেছেন, ‘‘অবশ্যই। মর্কেল আমাকে সব সময় উৎসাহ দেয়। ও আমাকে সব সময় বলে, ‘তুমি এক জন যোদ্ধা। তুমি ঠিক উইকেট পাবে। মাঠে নেমে শুধু নিজের বোলিং উপভোগ করার চেষ্টা করবে।’’’ তিন কোচের সাহায্য বা অবদানের কথা মেনে নিয়েছেন সিরাজ। তাঁর আশা, অস্ট্রেলিয়ার পিচে দলকে প্রত্যাশিত সাহায্য করতে পারবেন।