দল নির্বাচন নিয়ে ক্ষুব্ধ দুই প্রাক্তন বিশ্বজয়ী। ছবি: বিসিসিআই
ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে দুশোও পেরোতে পারেনি অস্ট্রেলিয়ার রান। ওপেনাররা চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছে। তার থেকেও বড় ব্যাপার, টেস্টে সবচেয়ে ছন্দে থাকা ব্যাটার ট্রেভিস হেডকেও দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স এবং নির্বাচকদের এই সিদ্ধান্তে ফুঁসছেন সে দেশেরই দুই প্রাক্তন বিশ্বজয়ী অধিনায়ক।
বৃহস্পতিবার টেস্ট শুরুর দিনেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন স্টিভ ওয়, যিনি ১৯৯৯ সালে দেশকে বিশ্বকার জিতিয়েছিলেন। তিনি ইনস্টাগ্রামে লেখেন, “বিশ্বের চার নম্বর টেস্ট ব্যাটার এবং গত ১২ মাসে সম্ভবত টেস্টে সবচেয়ে ভাল খেলা ব্যাটারকে যে বসিয়ে দেওয়া যায় এটা বিশ্বাস করা কঠিন। তা ছাড়া ও অফস্পিন বলটাও অনেকের থেকে ভাল করে। দেখা যাক কী হয়। বোধ হয় অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচকরা বিরাট বুদ্ধিমান।”
গত বছর পাঁচ টেস্টে ৫২৫ রান করেছেন হেড। গড় ৮৭.৫০। স্ট্রাইক রেটও প্রায় একশোর কাছাকাছি। তবে হেডকে বসিয়ে পিটার হ্যান্ডসকম্বকে খেলানোর যুক্তি হিসাবে দেখানো হচ্ছে, দলে বাঁহাতি ব্যাটারের সংখ্যা কমাতেই এই সিদ্ধান্ত।
এ দিকে, ডেভিড ওয়ার্নারের খারাপ ছন্দ নিয়ে চিন্তিত ২০০৩ এবং ২০০৭-এ অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক রিকি পন্টিং। বিদেশের মাটিতে, বিশেষ উপমহাদেশে ওয়ার্নারের পরিসংখ্যানও ভাল নয়। সেই প্রসঙ্গে পন্টিং বলেছেন, “আমার মনে হয় ভারতের পিচে ওর গড় ২৪। আটটা টেস্ট ম্যাচ খেলেছে সম্ভবত। আরও একটা ইনিংস পাবে। কিন্তু ওর গড় আরও কম। ভারতে যাওয়ার আগে ওকে বলতে শুনেছি যে ওই দেশে জেতা নাকি অ্যাশেজের থেকেও বড়।”
পন্টিংয়ের মতে, অস্ট্রেলিয়াকে ভাল পারফর্ম করতে হলে দল নির্বাচন নিয়ে আরও কঠোর হতে হবে। বলেছেন, “যদি কোচ এবং অধিনায়ক সিরিজ় জেতার জন্য বদ্ধপরিকর হয় এবং যদি দেখে প্রথম দুটো টেস্টে কিছু ব্যাটার ভাল খেলতে পারছে না, তা হলে শক্তিশালী দল গঠন করা উচিত।” পন্টিং জানিয়েছেন, যদি হেডের মতো ব্যাটারকে বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, তা হলে ওয়ার্নারকেও বসানো যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy