সতীর্থের ভুল আউটের বদলা নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ঈশান কিশন। মাঠের মধ্যে কী কাণ্ড ঘটান তিনি? —ফাইল চিত্র
হার্দিক পাণ্ড্য বোল্ড না হলেও আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে সাজঘরে ফিরে যেতে হয়েছিল তাঁকে। নিউ জ়িল্যান্ডের উইকেটরক্ষক টম লাথামের চালাকি বুঝতে পারেননি তিনি। আড়াই ঘণ্টার মধ্যে তার বদলা নিয়ে নিলেন ঈশান কিশন। লাথাম ব্যাট করতে নামলে একই ঘটনা ঘটালেন তিনি। তবে এ ক্ষেত্রে আউট হননি লাথাম।
লাথাম ব্যাট করতে নেমে প্রথম বল রক্ষণাত্মক ভাবে খেলেন। কিন্তু হঠাৎ দেখা যায়, পিছনে বেলে আলো জ্বলে উঠেছে। বেল পড়ে গিয়েছে। আম্পায়ার কিছু বুঝতে পারেননি। তিনি তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে যান। রিপ্লে-তে দেখা যায়, বল উইকেটে লাগেনি। উইকেটরক্ষক ঈশান নিজের গ্লাভসের সাহায্যে বেল ফেলে দিয়েছেন। রিপ্লে দেখে হাসতে শুরু করেন ঈশান।
কেন এই কাজ করলেন ঈশান? তার জন্য ফিরে যেতে হবে ভারতীয় ইনিংসের ৪০তম ওভারের চতুর্থ বলে। ড্যারিল মিচেলের বল কাট করতে গিয়েছিলেন হার্দিক। বলটি ব্যাটে লাগেনি। উইকেটকিপারের হাত ছিল একদম স্টাম্পের পিছনে। দু’-এক বার রিপ্লে-তে এটাও মনে হয়, উইকেটের আগেই ছিল তাঁর গ্লাভস। সে ক্ষেত্রে আম্পায়ারের নো বল ডাকার কথা। আবার অন্য কোণ থেকে দেখা যায়, উইকেটকিপারের গ্লাভসে লেগে বেল পড়ছে। তৃতীয় আম্পায়ার কে অনন্তনারায়ণন অনেক কোণ থেকে রিপ্লে দেখে আউট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। নিউ জ়িল্যান্ড ক্রিকেটাররা বাদে মাঠের প্রত্যেকে অবাক। পরের দিকে রিপ্লে দেখে পরিষ্কার বোঝা যায়, বল মোটেই স্টাম্পে লাগেনি। বেশ কিছুটা উপর দিয়েই গিয়েছে। অর্থাৎ বেল যে কিপারের গ্লাভসে লেগেই পড়েছে, সেটা প্রমাণ হয়ে যায়।
জায়ান্ট স্ক্রিনে আম্পায়ারের আউটের সিদ্ধান্ত জানানোর পর মাথা নাড়তে নাড়তে ফিরে যান হার্দিক। পরে আবার একটি কোণ থেকে রিপ্লে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তৃতীয় আম্পায়ার। কিন্তু হার্দিক তত ক্ষণে সাজঘরে ফিরে যাওয়ার আর সেটির দরকার পড়েনি। ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রী বিস্ময় প্রকাশ করেন আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy