নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, বিরাট কোহলির পরিবর্ত হিসাবে ইংল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাঁকে। প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর জানিয়েছিলেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকতার পুরস্কার পাবেন তিনি। সকলেই জানতেন, করুণ নায়ারের খেলা নিশ্চিত। করুণ নিজেও চেয়েছিলেন, প্রত্যাবর্তনে নজর কাড়তে। কিন্তু পারলেন না। হেডিংলেতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে চার বলে শূন্য রানে আউট হয়ে ফিরলেন তিনি।
২০১৬ সালে এই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই ত্রিশতরান করেছিলেন করুণ। তার পরেও সুযোগ পাননি তিনি। ব্রাত্য হয়ে যান। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছিলেন করুণ। পাশাপাশি কাউন্টি ক্রিকেটও খেলেন। তাঁর ঘরোয়া ক্রিকেটের সাফল্য নজরে পড়ে নির্বাচকদের। ভারতীয় দলে সুযোগ পান তিনি। ৩০১১ দিন পর আবার ভারতের জার্সি গায়ে ব্যাট করতে নামেন তিনি। কিন্তু শুরুটা ভাল হল না।
কোহলির পরিবর্ত হিসাবে করুণকে নেওয়া হলেও চার নম্বরে ব্যাট করার সুযোগ পাননি তিনি। অধিনায়ক শুভমন গিল চার নম্বরে খেলছেন। পাঁচ নম্বরে সহ-অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। ফলে ব্যাট করার জন্য অনেক ক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় তাঁকে। দ্বিতীয় দিন শুভমন আউট হওয়ার পর নামেন তিনি। তার পরেও তাঁকে দু’ওভার অপেক্ষা করতে হয়। কারণ, সেই দুই ওভারের সব বলই খেলেন পন্থ।
আরও পড়ুন:
প্রথম তিনটে বল খেলার পর চতুর্থ বলটা অফ স্টাম্পের বাইরে করেন বেন স্টোকস। করুণ কভার দিয়ে চার মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু বল মাটিতে রাখতে পারেননি তিনি। কভারে দাঁড়িয়ে থাকা ওলি পোপ শূন্যে ঝাঁপিয়ে দু’হাতে ক্যাচ ধরেন। করুণকে কিছু ক্ষণ হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তার পরে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তাঁকে দেখে বোঝা যাচ্ছিল, কতটা হতাশ তিনি। বিশেষ করে যশস্বী জয়সওয়াল, শুভমন ও পন্থের শতরানের পর তাঁর কাছেও সুযোগ ছিল বড় রান করার। কিন্তু সেই সুযোগ হাতছাড়া করলেন তিনি।