রিঙ্কু সিংহ। —ফাইল চিত্র
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে দল হারলেও প্রশংসা পাচ্ছেন রিঙ্কু সিংহ। তাঁর অর্ধশতরানের ইনিংস ভারতকে লড়াই করার রান তুলে দিয়েছিল। সেই ইনিংসের মাঝে একটি ছক্কা মারতে গিয়ে মিডিয়া বক্সের কাচ ভেঙে দেন রিঙ্কু। বিরতিতে সাজঘরে ফিরে সে কথা জানতে পেরে দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি।
বিসিসিআই রিঙ্কুর একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছে। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘যখন আমি ছক্কা মারি তখন বুঝতে পারিনি যে সেটা গিয়ে মিডিয়া বক্সের কাচে লেগেছে। বলের ধাক্কায় কাচ ভেঙে যায়। সাজঘরে ফিরে সে কথা জানতে পারি। আমার খুব খারাপ লেগেছে। আমি দুঃখিত।’’
জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর থেকে প্রতি ম্যাচেই নিজের জায়গা আরও পাকা করছেন রিঙ্কু। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ব্যাটিং অর্ডারের উপরের দিকে পাঠানো হয়নি রিঙ্কুকে। নেমেছিলেন নিজের পরিচিত পাঁচ নম্বরেই। তবে খানিকটা অনভ্যস্ত পরিস্থিতিতে। ভারতীয় ইনিংসের ৫.৫ ওভারের মাথায় রিঙ্কু যখন ব্যাট করতে নামেন, তখন ভারতের রান ৩ উইকেটে ৫৫। সাজঘরে ফিরে গিয়েছেন দুই ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল (০), শুভমন গিল (০) এবং তিন নম্বরে নামা তিলক বর্মা (২৯)। চাপের মুখে থাকা দলকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দেয় রিঙ্কুর ব্যাট।
কঠিন পরিস্থিতিতেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তাদের মাঠে গুটিয়ে যাননি রিঙ্কু। আবার চেনা আগ্রাসী মেজাজে প্রথম থেকেই বল তুলে মারারও চেষ্টা করেননি। রিঙ্কু জানতেন, ওই পরিস্থিতিতে আরও উইকেট পড়লে হার বাঁচানো কঠিন হবে। মাঠে নেমে রিঙ্কু মন দেন ইনিংস গড়ার কাজে। উইকেটের অন্য প্রান্তে আগ্রাসী মেজাজে থাকা অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবকে সঙ্গ দেন। আগলে রাখলেন উইকেটের এক প্রান্ত। চেষ্টা করে মাটিতে বল রেখে খেলার। ছক্কা মারার বল পেলেও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করেন। অধিনায়কের সঙ্গে গড়ে তোলেন ৭০ রানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জুটি।
সূর্যকুমার আউট হওয়ার পরেও নিজের লক্ষ্যে অবিচল থাকেন মাথা ঠান্ডা রেখে। যে রিঙ্কুর ইনিংসে একের পর এক ছক্কা আছড়ে পড়ে মাঠের বাইরে, সেই রিঙ্কুই প্রথম ছক্কা হাঁকান ১৯তম ওভারের প্রথম বলে। পরের বলে আবার ছয়। এ বার আরও বড়। বল ভেঙে দেয় স্টেডিয়ামের মিডিয়া বক্সের কাচ। উইকেটের অন্য প্রান্তে রবীন্দ্র জাডেজার মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার থাকলেও নিজের কাঁধেই দায়িত্ব তুলে নেন কেকেআরের তরুণ ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ৩৯ বলে ৬৮ রানে অপরাজিত থাকেন রিঙ্কু। ৯টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy