বল দেখো, বল মারো! এই নীতিতে বিশ্বাস করে বৈভব সূর্যবংশী। সে আইপিএল হোক, বা ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ বা যুব দলের হয়ে ম্যাচ। একই রকম ছন্দে ব্যাট করে বিহারের ১৪ বছরের ছেলে। এ বার নেটেও সেই ছবি দেখা গেল। বৈভবের শটের আঘাতে আর একটু হলে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হত ক্যামেরাম্যানদের।
আইপিএলের আগামী মরসুমের আগে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে একটা প্রচারমূলক ভিডিয়োর শুটিং করছিল বৈভব। রাজস্থানের হাই পারফরম্যান্স সেন্টারে নেটে ব্যাট করতে নামে সে। বৈভবের হেলমেটে ক্যামেরা লাগানো ছিল। নেটের উল্টোদিকে উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়েছিলেন ক্যামেরাম্যানেরা। বৈভবের শট ক্যামেরাবন্দি করছিলেন তাঁরা।
নেট বোলারের একটা বল বৈভবের ব্যাটের গোড়ায় পড়ে। সোজা বোলারের দিকে জোরালো শট মারে বৈভব। এতটাই জোরে বল মারা হয়েছিল, বোলারের কাছে সুযোগ ছিল না তা ধরার। তাঁকে অতিক্রম করে বল যায় ক্যামেরাম্যানদের দিকে। বলের আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে সেখান থেকে সরে যান কয়েক জন ক্যামেরানম্যান। কয়েক জন সরতে গিয়ে মাটিতে পড়ে যান। তবে ভাগ্য ভাল বল কারও গায়ে লাগেনি। তা হলে নির্ঘাত চোট পেয়ে হাসপাতালে ছুটতে হত তাঁকে।
আরও পড়ুন:
সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য ক্যামেরাম্যানদের কাছে ক্ষমা চায় বৈভব। তার পরে আবার ব্যাট করা শুরু করে সে। বৈভবের হেলমেটে লাগানো ক্যামেরায় তা ধরা পড়ছিল। একের পর এক বড় শট মারছিল সে। কভার থেকে লং অফ, লং অন হয়ে মিড উইকেটে, চার দিকে শট খেলতে দেখা যায় রাজস্থানের ব্যাটারকে।
ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলে ভাল খেলায় আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসে কেনে বৈভবকে। মাত্র ১৩ বছর বয়সে কোটিপতি হয় সে। প্রথম মরসুমে সাতটা ম্যাচ খেলেছেন বৈভব। সেখানেই নজর কেড়েছে সে। গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে মাত্র ৩৫ বলে শতরান করেছে বৈভব। আইপিএলের ইতিহাসে ভারতীয় হিসাবে দ্রুততম শতরান করেছে সে। আইপিএলের পর ভারতের যুব দলের হয়েও ইংল্যান্ডের মাটিতে তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং দেখা গিয়েছে। নেটেও তার অন্যথা হল না।