এক দিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপ ট্রফি। — ফাইল চিত্র।
দীর্ঘ ১২ বছর পর ভারতের মাটিতে আয়োজিত হচ্ছে বিশ্বকাপ। বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ড বনাম নিউ জ়িল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছে প্রতিযোগিতা। বিদেশ থেকে প্রচুর সমর্থক যেমন আসছেন খেলা দেখতে, তেমনই দেশের সমর্থকেরাও প্রচুর ঘোরাঘুরি করবেন। ১০টি শহরে খেলা হবে। এক বেসরকারি সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বকাপের কারণে ভারতীয় অর্থনীতিতে প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকা লাভ হবে।
বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে। আর ক’দিন পর থেকে গোটা দেশে উৎসবের মরসুম শুরু হবে। বাংলায় শুরু হবে দুর্গাপুজো। ফলে বিশ্বকাপ দেখার পাশাপাশি কেনাকাটার আগ্রহও বাড়বে সমর্থকদের মধ্যে। বিশ্বকাপের ফলে ভ্রমণ এবং হোটেল পরিষেবায় আর্থিক লাভের পরিমাণ বেশি হবে। পাশাপাশি দেশ-বিদেশের যে সব সমর্থক ভারতের এই ১০ শহরে ঘোরাঘুরি করবেন, তাঁদের একটি অংশকে উৎসবের মরসুমে কেনাকাটি করতে চাইবেন। ফলে সেই দিকেও লাভের পরিমাণ বাড়বে।
অর্থনীতিবিদরা আশা করছেন, টিভি এবং ডিজিটাল মিলিয়ে বিশ্বকাপ দেখা লোকের সংখ্যাও অনেক বাড়বে। গত বিশ্বকাপে সেই সংখ্যা ছিল ৫৫ কোটির আশেপাশে। এ বার তা ১০০ কোটি পেরিয়ে যেতে পারে। ফলে সেখান থেকে ১০,৫০০ কোটি থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা আয় হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, উৎসবের মরসুম থাকায় খুচরো কেনাকাটিতেও আগ্রহ বাড়বে মানুষের।
তবে এটাও লক্ষণীয়, বিশ্বকাপ ঘিরে মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে। বিশ্বকাপের কারণে বিমানভাড়া, হোটেলভাড়া ইতিমধ্যেই লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। আগামী দিনে তা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, অক্টোবর এবং নভেম্বরে মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে ০.১৫-০.২৫ শতাংশ।
সরকারেরও লাভ হতে চলেছে প্রচুর পরিমাণে। টিকিট বিক্রি, হোটেল, রেস্তোরাঁ, খাবার ডেলিভারি ইত্যাদি অনেক জায়গা থেকে কর পাবে তারা। সমর্থকের আগ্রহ যত বাড়বে, ততই লাভের পরিমাণ বাড়বে। সব মিলিয়ে, শক্তিশালী হবে ভারতের অর্থনীতিই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy