অবশেষে কথা বললেন ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেটারেরা। তবে খোশগল্প নয়, ঝামেলা হল তাঁদের মধ্যে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে উত্তপ্ত হল মাঠের পরিস্থিতি। খেলার মাঝে ভারতের দুই ওপেনার শুভমন গিল ও অভিষেক শর্মার সঙ্গে ঝামেলায় জড়ালেন শাহিন শাহ আফ্রিদি ও হ্যারিস রউফ। ২৯ বছর আগের বিশ্বকাপের স্মৃতি ফিরল এশিয়া কাপে।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৭২ রান তাড়া করতে নেমে ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু করেন অভিষেক ও শুভমন। শাহিনকে প্রথম বলেই ছক্কা মারেন তিনি। শাহিনও তাঁকে পাল্টা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁর লাইন-লেংথ ঠিক হচ্ছিল না। পাওয়ার প্লে চলাকালীন বিতণ্ডা বাড়তে থাকে। তাতে ঢুকে পড়েন শুভমন ও রউফও।
শাহিনের দ্বিতীয় ওভারে পর পর চার মারেন শুভমন। তার পর শাহিনের দিকে তাকিয়ে কিছু একটা বলেন তিনি। স্টাম্প মাইকে কথা ধরা পড়েনি। তবে শুভমনের ঠোঁটের নড়াচড়া দেখে বোঝা গিয়েছে শাহিনকে তিনি বলেছেন, “যাও, বাউন্ডারি থেকে বল কুড়িয়ে আনো।”
চতুর্থ ওভারে রউফের বলে বড় শট খেলেন শুভমন ও অভিষেক দু’জনেই। ভারতীয় ব্যাটারদের হাতে মার খেয়ে রউফ উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তিনি কিছু একটা বলেন। জবাব দেন শুভমন ও অভিষেকও। পিচের মধ্যেই ঝামেলা বেধে যায়। আম্পায়ার ক্রিকেটারদের সেখান থেকে সরতে বলেন। তা-ও ঝামেলা থামেনি। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে এই দৃশ্য দেখা যায়নি। কিন্তু সুপার ফোরে উত্তপ্ত হল পরিস্থিতি।
আরও পড়ুন:
২৯ বছর আগেও এই ছবি দেখা গিয়েছিল। ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপে ভারতের পেসার বেঙ্কটেশ প্রসাদকে পয়েন্ট দিয়ে চার মারেন পাকিস্তানের ওপেনার আমির সোহেল। তার পর ব্যাটের ইশারায় তিনি বোঝান, যাও বল নিয়ে এসো। প্রসাদ পরের বলেই জবাব দেন। সোহেলের স্টাম্প উড়িয়ে দেন তিনি। তার পর উল্লাসের ধরনে সোহেলকে সাজঘরে ফিরে যেতে বলেন প্রসাদ। এই ম্যাচে অবশ্য অভিষেকের কথার কোনও জবাব দিতে পারেননি শাহিন।
পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের এই আগ্রাসন ভাল ভাবে নেননি অভিষেক। খেলাশেষে ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, পাকিস্তানকে জবাব দিতে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলেন তিনি। সঞ্চালকের প্রশ্নের উত্তরে অভিষেক বলেন, “পাকিস্তানের বোলারেরা বেশি বাড়াবাড়ি করছিল। কোনও কারণ ছাড়াই আমাদের দিকে তেড়ে আসছিল, তর্ক করছিল। আমার সেটা একেবারেই পছন্দ হয়নি। তাই জন্যই ওদের জবাব দেওয়া দরকার ছিল। দলকে জেতাতে চেয়েছিলাম। সেটা পেরেছি।”
আগ্রাসনের সুফল অবশ্য পাকিস্তান পায়নি। ভারতের দুই ওপেনারের আগ্রাসী ব্যাটিং ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দেয়। খেলা শেষ করেন তিলক বর্মা ও হার্দিক পাণ্ড্য। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পর পর দু’ম্যাচে ভারতের কাছে হারল পাকিস্তান।