সময় নষ্ট করতে চাইছে না ভারতীয় দল। দুবাইয়ে নেমেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তারা। প্রথম দিন তিন ঘণ্টা অনুশীলন করেছে তারা। দুবাই ক্রিকেট অ্যাকাডেমির মাঠে অনুশীলন করেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা। অনুশীলনে রোহিত ও কোহলির দিকে বাড়তি নজর দিতে দেখা গিয়েছে কোচ গৌতম গম্ভীরকে। হার্দিক পাণ্ড্য ও শ্রেয়স আয়ার বড় শটের অনুশীলন করেছেন। এক ঘণ্টার উপর বল করেছেন মহম্মদ শামিও।
নেটে প্রথমে ব্যাট করতে নামেন রোহিত ও কোহলি। তাঁদের বল করছিলেন শামি ও অর্শদীপ সিংহ। কোহলির নজর ছিল অফ স্টাম্পে। বার বার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মেরে আউট হন কোহলি। সেই দুর্বলতা সারানোর চেষ্টা করছেন তিনি। অফ স্টাম্পের বাইরের বল মারার চেষ্টাই করেননি তিনি। রোহিতও বল ব্যাটের মাঝখানে খেলার চেষ্টা করছিলেন। কভার ড্রাইভ, কাট, পুলের দিকেই নজর ছিল তাঁদের। মাটিতে বল রাখার চেষ্টা করছিলেন ভারতের দুই ব্যাটার। তাঁদের নেটের পিছনেই দাঁড়িয়েছিলেন গম্ভীর। তিনি নজর রাখছিলেন দু’জনের দিকে।
শ্রেয়স ও হার্দিক অবশ্য ডিফেন্সের দিকে যাননি। শুরু থেকেই একের পর এক বড় শট খেলছিলেন তাঁরা। পরিস্থিতি এমন হয় যে সাপোর্ট স্টাফেরা চিৎকার করে মাঠকর্মী, দর্শক ও সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের সতর্ক করেন। কিছু ক্ষণ পরে দেখা যায়, দৌড়ে স্টেডিয়ামের ভিতরে ঢুকছেন মাঠকর্মীরা।
আরও পড়ুন:
ভারতের দুই পেসার শামি ও অর্শদীপ এক ঘণ্টার উপর বল করেন। তাঁরা লেংথ বলের পাশাপাশি ইয়র্কার ও বাউন্সারও অনুশীলন করেন। শামি ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছেন। জসপ্রীত বুমরাহ না থাকায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তিনিই দলের প্রধান পেসার। অর্শদীপেরও খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। তা হলে ডানহাতি, বাঁহাতি ভারসাম্য হয়। বেশ কয়েকটি বলে রোহিত, কোহলিকে সমস্যায় ফেলেন ভারতের দুই পেসার। তাঁদের পাশাপাশি স্পিনারেরাও পুরোদমে অনুশীলন করেন।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচ খেলবে ভারত। ২৩ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি পাকিস্তান। ২ মার্চ গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নামবেন রোহিত, কোহলিরা।