২০২০ সালের নিলামে কেন আইপিএল খেলতে চাননি , তা জানিয়েছেন শাহবাজ়। ছবি: টুইটার।
২০২০ সালে আইপিএলের নিলামে বিক্রি হবেন ভাবতেই পারেননি বাংলার অলরাউন্ডার শাহবাজ় আহমেদ। আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের একটি অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন তিনি।
নিলামে প্রথম দফায় তাঁর নাম উঠলে কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি আগ্রহ দেখায়নি। দল পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন শাহবাজ়। বন্ধ করে দিয়েছিলেন টেলিভিশন। পরে বেঙ্গালুরু তাঁকে দলে নেওয়ায় খানিকটা বিস্মিত-ই হয়েছিলেন বাংলার বাঁহাতি অলরাউন্ডার। গত বছর আইপিএলে নজর কাড়া শাহবাজ় এ বারও বিরাট কোহলিদের দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। নিজের ফ্র্যাঞ্চাইজ়িকে শাহবাজ় বলেছেন, ‘‘ভাবতেই পারিনি আরসিবি আমাকে কিনবে। বেশ বিস্মিতই হয়েছিলাম। সত্যি বলতে, সে সময় আমার কাঁধে চোট ছিল। সব ক্রিকেটার আইপিএলে খেলতে চায়। ঘরোয়া ক্রিকেটে আমার পারফরম্যান্স বেশ ভাল ছিল সে বছর। বাংলার ক্রিকেট সংস্থার অনেকেই বলেছিলেন, নিলামে আমার দল পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু আরসিবি আমাকে কিনতে পারে, তা ভাবতেও পারিনি। বরং মনে হয়েছিল, নিলামে অবিক্রিত থাকলেই বোধহয় ভাল হবে। কারণ, চাইছিলাম না আইপিএল খেলতে গিয়ে নতুন কোনও সমস্যা হোক। তা হলে আমার গোটা মরসুমটা নষ্ট হয়ে যেতে পারত।’’
২০২০ মরসুম থেকে আইপিএলে কোহলির সতীর্থ শাহবাজ়। কেমন ছিল নিলামের সেই দিন? শাহবাজ় বলেছেন, ‘‘আমার সতীর্থ ঈশান পোড়েলকে প্রথম কিনেছিল পঞ্জাব কিংস। তার পর আমার সুযোগ ছিল। প্রথম বারে আমাকে কেউ কেনেনি। অবিক্রিত থাকায় কিছুটা খুশি হয়েছিলাম। বলতে পারেন স্বস্তি পেয়েছিলাম। এক রকম নিশ্চিন্তে টেলিভিশন বন্ধ করে দিয়েছিলাম। পরে নিলামের প্রায় শেষ দিকে এক বন্ধু ফোন করে জানিয়েছিল, আমাকে আরসিবি কিনেছে। সে সময় আমি বাংলার সাজঘরে ছিলাম। অনেকেই টেলিভিশনে নিলাম দেখছিল। দলের সকলে আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছিল।’’
আরসিবিতে সুযোগ পাওয়ার পরও ভয়ে ছিলেন শাহবাজ়। কারণ, তখন ফিল্ডার হিসাবে তেমন দক্ষ ছিলেন না। জানতেন, কোহলি ফিল্ডিংকে বিশেষ গুরুত্ব দেন। তা নিয়ে শাহবাজ় বলেছেন, ‘‘আরসিবি দলে নেওয়ায় প্রথমে খুশি হলেও পরে ভয় পাচ্ছিলাম। ভেবেছিলাম, আমাকেই কেন আরসিবি নিল! তখন কোহলি ভাই ভারতীয় দলের অধিনায়ক। ভাবছিলাম, আমার কী হবে এ বার? কারণ ভাল ফিল্ডিং করতে পারতাম না। আর বিরাট ভাই ফিল্ডিংকে ভীষণ গুরুত্ব দেন।’’
সেই ভয় এখন আর নেই শাহবাজ়ের। বেঙ্গালুরু দলে মানিয়ে নিয়েছেন। খেলেছেন ভারতীয় দলের হয়েও। কী ভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হল? বাংলার অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘‘কোভিড আমার জীবন বদলে দিয়েছে। লকডাউনের সময় কাঁধের অস্ত্রোপচার করিয়ে নিয়েছিলাম। যখন আরসিবির শিবিরে যোগ দিয়েছিলাম, তখন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে গিয়েছিলাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy