বুধবার শহরে এক অনুষ্ঠানে সৌরভ। ছবি: পিটিআই
অবসর তাঁকে আরও ব্যস্ত করেছে। খেলোয়াড় জীবনে ভাবতেন অবসর নিলে নিজের জন্য কিছু সময় পাবেন। তা হয়নি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব এবং অন্য কাজ ব্যস্ততা বাড়িয়েছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। ‘আধুনিক ভারতের নেতৃত্ব’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বুধবার জানালেন সৌরভ।
স্বাধীনতার ৭৫ বছর। নেতাজির ১২৫তম জন্ম বার্ষিকী। কিছু দিন আগেই ৫০ বছর পূর্ণ করেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। আলোচনা সভার মুখ্য আকর্ষণ ছিলেন সৌরভই। নেতৃত্ব নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন। নেতাজির প্রসঙ্গ টেনে বললেন, ‘‘দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজিকে নেতৃত্ব দিতে যে চাপ নিতে হয়েছে বা সীমান্তে পাহারার কাজে সেনা কর্তাদের যে চাপ নিতে হয়, তার কাছে আমার চাপ কিছুই নয়। চাপ সব ক্ষেত্রেই থাকে সেটা পরিবার হোক বা কর্মক্ষেত্র। চাপকে গ্রহণ করতে হয়। উপভোগ করতে হয়।’’
তবু কি খেলোয়াড় জীবনের সঙ্গে অবসর জীবনের কোনও পার্থক্য নেই? সৌরভ বলেছেন, ‘‘যখন খেলতাম, তখন প্রতি ম্যাচের সকালেই চাপ থাকত। জানতাম না বিকালে জিতে ফিরব না হেরে। এখন সকালে সেই চিন্তা থাকে না। তবে পরিস্থিতি যতই কঠিন হোক ১৫ দিন পর সেটা অভ্যাস হয়ে যায়। তখন আর চাপ মনে হয় না।’’
সৌরভের পরেও ভারতীয় ক্রিকেট বেশ কয়েক জন অধিনায়ককে দেখেছে। বিসিসিআই সভাপতি তুলনায় নারাজ। সৌরভ বলেছেন, ‘‘আমার পর মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, বিরাট কোহলী সাফল্যের সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছে। এখন রোহিত শর্মা দিচ্ছে। কারও সঙ্গে কারও তুলনা করা সম্ভব নয়। পরিবেশ, পরিস্থিতি প্রজন্ম বদলে যায়।’’
এক জন নেতার সব থেকে বড় গুণ কী? সৌরভ বলেছেন, ‘‘সিদ্ধান্ত নেওয়ার সহজাত ক্ষমতা। নিজের সিদ্ধান্ত মতো এগিয়ে যাওয়া এবং ভয়ডরহীন মানসিকতা। চাপের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিতে হয় এক জন নেতাকে। আত্মবিশ্বাস দরকার। সাহসী হতে হয়। সময়ের আগে ভাবতে পারা জরুরি। ক্রিকেটের ক্ষেত্রে বলতে পারি, ১০-১৫ ওভার পর কী হতে পারে, সেটা অনুমান করতে হয়।’’
জনপ্রিয় সিদ্ধান্ত নেওয়া নেতার কাজ নয় বলেই মনে করেন সৌরভ। তাঁর মতে, সিদ্ধান্ত ঠিক না ভুল সেটাই আসল। বৃহত্তর স্বার্থে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারাও গুরুত্বপূর্ণ। ক্রিকেট জীবনে ভারতীয় দলের স্বার্থে অনেক খেলোয়াড়কে প্রথম একাদশ থেকে বাদ দিয়েছেন। কিন্তু তাতে কোনও সমস্যা হয়নি। সৌরভ বলেছেন, ‘‘সকলের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলতাম। সেই ম্যাচ দল কী চাইছে বলতাম। এতে অধিনায়কের প্রতি আস্থা, ভরসা বাড়ে। অন্যরকম ভাবার সুযোগ থাকে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy