মহম্মদ আমির। — ফাইল চিত্র।
যা আশঙ্কা করা হয়েছিল তা-ই হল। বিতর্কের মুখেও মাথা নত করল না পাকিস্তান। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে তারা দলে নিল মহম্মদ আমির এবং বাঁ হাতি স্পিনার ইমাদ ওয়াসিমকে। এর মধ্যে আমির অতীতে ম্যাচ গড়াপেটা করে শাস্তি পেয়েছেন। কিছু দিন আগেই তিনি অবসর ভেঙে ফিরেছেন।
১৮ এপ্রিল থেকে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ় শুরু। তিনটি ম্যাচ রাওয়ালপিণ্ডি এবং দু’টি ম্যাচ লাহোরে। কেরিয়ারের শুরুর দিকে আমির ইংল্যান্ডে গিয়ে ইচ্ছাকৃত ম্যাচ গড়াপেটা করেছেন। তার পরে সে দেশে জেল খেটেছেন। পাঁচ বছরের জন্য তাঁকে নির্বাসিত করেছিল আইসিসি। শাস্তি শেষ হওয়ার পর তিনি ক্রিকেটে ফিরেছিলেন। পাকিস্তানের হয়ে ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছেন। ২০২০ সালে তিনি অবসর নেন বিভিন্ন দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি লিগে খেলবেন বলে।
অন্য দিকে, ইমাদও ২০২৩-এর নভেম্বরে অবসর নিয়েছিলেন। কিন্তু বোর্ড এবং নির্বাচকদের ইন্ধনে তিনি অবসর ভেঙে ফিরেছেন। পাকিস্তান সুপার লিগে তাঁর পারফরম্যান্সও দলে ফেরার অন্যতম কারণ। পাকিস্তানের নির্বাচক মহম্মদ ইউসুফ বলেছেন, “আশা করি সম্প্রতি এই দুই ক্রিকেটার যে উন্নতি করেছে সেটা দেশের জার্সিতেও করে দেখাতে পারবে। নির্বাচক এবং অধিনায়কের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে ওরা।”
আমিরের ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হতেই পাকিস্তানের এক টিভি চ্যানেলে প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা চেয়ারম্যান রামিজ় রাজা বলেছিলেন, “আমির নিয়ে আমার মত খুব সোজাসাপটা। আমি ম্যাচ গড়াপেটা না করার প্রতিজ্ঞা কখনও নিইনি। তবে আমার মতে, এখনকার দিনে এটা জরুরি। আমির ম্যাচ গড়াপেটা করার সময় আমি ধারাভাষ্য দিচ্ছিলাম। তখন ম্যাচ গড়াপেটাকারীদের খুঁজে বার করার জন্য যে বিদ্বেষের মুখে পড়েছিলাম তা এখনও মনে আছে। সংবাদমাধ্যম প্রচুর সমালোচনা করেছিল আমায় নিয়ে। এখনও তা ভুলতে পারিনি।”
রামিজ় জানিয়েছিলেন, তাঁর ছেলে এই কাজ করলে তাড়িয়ে দিতেন তাঁকে। বলেছিলেন, “বিশ্বের যে প্রান্তেই বিতর্কিত ক্রিকেটার থাকুক, তাদের বহিষ্কার করা হয়। ওদের প্রতি সমব্যথী হলেও কখনও ক্ষমা করতে পারব না। যদি আমার ছেলে এই কাজ করত তা হলে ওকেও ত্যাগ করতে দু’বার ভাবতাম না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy