একটা সময় দেখে মনে হচ্ছিল, ২০০ রান হাসতে হাসতে হবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। উইল জ্যাকস ও সূর্যকুমার যাদব যখন ব্যাট করছিলেন তখন গুজরাত টাইটান্সের বোলারদের দিশাহারা দেখাচ্ছিল। কিন্তু দুই ব্যাটার ফেরার পর বদলে গেল ছবিটা। বাকি কেউ রান করতে পারলেন না। মহম্মদ সিরাজ, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, রশিদ খানদের বিরুদ্ধে খেই হারাল মুম্বইয়ের ব্যাটিং। ফলে শুভমন গিলের গুজরাতের সামনে ১৫৬ রানের লক্ষ্য দিল তারা।
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ইনিংসের শুরুটা ভাল হয়নি মুম্বইয়ের। সিরাজের দ্বিতীয় বলেই শূন্য রানে আউট হন রায়ান রিকেলটন। ফর্মে থাকা ব্যাটারকে হারিয়ে ধাক্কা খায় মুম্বই। সেই ওভারেই জোড়া উইকেট পেতে পারতেন সিরাজ। উইল জ্যাকসের ক্যাচ পড়ে। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে ৭ রানে ফেরেন রোহিত শর্মাও। দলের দুই ওপেনার অনেক দিন পর ব্যর্থ।
তৃতীয় উইকেটে জুটি বাঁধেন সূর্য ও জ্যাকস। তাঁরা দ্রুতগতিতে রান তুলছিলেন। তবে ভাগ্যও সঙ্গ দেয় তাঁদের। সূর্যের ক্যাচ তিন বার পড়ে। গুজরাত দু’বার রিভিউ নিলেও আম্পায়ার্স কল বাঁচিয়ে দেয় সূর্য ও জ্যাকসকে। তৃতীয় উইকেটে ৭১ রানের জুটি হয়। দেখে মনে হচ্ছিল, বড় রানের পথে এগোচ্ছে মুম্বই। অর্ধশতরান করেন জ্যাকস।
আরও পড়ুন:
গুজরাতকে খেলায় ফেরান সাই কিশোর। ৩৫ রানের মাথায় সূর্যকে আউট করেন তিনি। পরের ওভারেই ৫৩ রান করে রশিদের বলে আউট হন জ্যাকস। তার পরে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে। তিলক বর্মা (৭), অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য (১) ও নমন ধীর (৭) রান পাননি। শেষ দিকে কর্বিন বশ ২২ বলে ২৭ রান না করলে ১৫০ রানও হত না মুম্বইয়ের। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান করে তারা।
গুজরাতের হয়ে মোট ছ’জন বল করেছেন। প্রত্যেকে উইকেট পেয়েছেন। জোড়া উইকেট নিয়েছেন কিশোর। সিরাজ, আরশাদ খান, প্রসিদ্ধ, রশিদ ও জেরাল্ড কোয়েৎজ়ি ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।