নিজের নামাঙ্কিত প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের আর্শাদ নাদিমকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন নীরজ চোপড়া। তা নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। সেই নীরজ চোপড়া এ বার স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, তিনি কোনও দিনই আর্শাদের ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ ছিলেন না। যেটুকু সম্পর্ক ছিল, ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের পর সেটাও আর থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন নীরজ।
টোকিয়ো অলিম্পিক্সের সোনাজয়ী খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করছেন দোহা ডায়মন্ড লিগে। তার আগে এক সাংবাদিক বৈঠকে নাদিমকে নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। নীরজ বলেন, “সবার আগে একটা জিনিস পরিষ্কার করে দিতে চাই, আমার সঙ্গে কখনওই আর্শাদ নাদিমের খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল না।”
নীরজ বলেছেন, “হ্যাঁ, আমরা দু’জনেই খেলোয়াড়। সেই হিসাবে আমরা মাঝেসাঝে কথা বলি ঠিকই। অ্যাথলেটিক্স জগৎ এবং তার বাইরেও বিশ্বের অনেকের সঙ্গেই আমার ভাল বন্ধুত্ব রয়েছে। তা ছাড়া, কেউ আমার সঙ্গে সম্মান দিয়ে কথা বললে আমিও তার সঙ্গে সম্মানের সঙ্গেই কথা বলি।”
যেটুকু সম্পর্ক ছিল, সেটাও আর আর্শাদের সঙ্গে থাকবে— এমন নিশ্চয়তা দিতে পারেননি নীরজ। বলেছেন, “জ্যাভলিন ছোড়ে, এমন খেলোয়াড়ের সংখ্যা খুব বেশি নয়। প্রত্যেকেই দেশের জন্য লড়াই করে এবং নিজেদের সেরাটা দিতে চায়। আগামী দিনেও সেটাই হবে। এখন যা পরিস্থিতি তাতে আমাদের (নীরজ এবং আর্শাদ) সম্পর্কটা আগের মতো থাকবে না।”
উল্লেখ্য, পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর পড়শি দেশের বেশির ভাগ ক্রীড়াবিদের মতো আর্শাদও চুপ ছিলেন। ভারতের প্রত্যাঘাতের পর সংঘাত শুরু হলে এক বারই নিজের দেশের পতাকা বওয়ার ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’।
নীরজের সঙ্গে এর মধ্যে আর্শাদের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। দোহা থেকে পোল্যান্ডে একটি প্রতিযোগিতায় খেলতে যাবেন নীরজ। আর্শাদ খেলবেন এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে।
উল্লেখ্য, নিজের আয়োজিত প্রতিযোগিতা ‘এনসি ক্লাসিকে’ নাদিমকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন নীরজ। তার পরেই ঘটে পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলা। সেই ঘটনার পর নাদিমকে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে দেশবাসীর নিন্দা এবং আক্রমণের মুখে পড়তে হয় নীরজকে।
আরও পড়ুন:
এর প্রতিবাদে মুখ খুলেছিলেন নীরজ। সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে লিখেছিলেন, “নাদিমকে এনসি ক্লাসিকে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে প্রচুর কথা হচ্ছে। চারিদিকে শুধু ঘৃণা আর কটূক্তি। আমার পরিবারকেও ছাড়া হচ্ছে না। একজন ক্রীড়াবিদ হিসাবে আর্শাদকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। তার চেয়ে বেশি কিছু নয়। আমার লক্ষ্য ছিল এনসি ক্লাসিকের মাধ্যমে বিশ্বের সেরাদের ভারতে আনা। সব ক্রীড়াবিদের কাছে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছিল। পহেলগাঁও কাণ্ডের আগেই আমন্ত্রণ চলে গিয়েছিল। পরের ৪৮ ঘণ্টায় যা ঘটেছে, তার পর আর্শাদের এই প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।”