Advertisement
০২ মে ২০২৪
Wriddhiman Saha

নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই ঋদ্ধি, সুদীপকে বাংলায় ফেরানোর ডাক স্নেহাশিসের

চলতি মরসুম শুরু হওয়ার আগেই এই দুই ক্রিকেটার বাংলা ছেড়েছেন। অনেক টালবাহানার পর ঋদ্ধি গিয়েছেন ত্রিপুরায়। সুদীপও তাঁর সঙ্গে একই রাজ্যে গিয়েছেন। দু’জনকেই ফেরাতে চান স্নেহাশিস।

গত ২ জুলাই আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছিল ঋদ্ধিমানের।

গত ২ জুলাই আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছিল ঋদ্ধিমানের। ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২২ ২২:১১
Share: Save:

সোমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে সিএবি সভাপতি পদে দায়িত্ব নিলেন স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। আর প্রথমেই তিনি বলে দিলেন, বাংলা ছেড়ে যাওয়া দুই ক্রিকেটার ঋদ্ধিমান সাহা এবং সুদীপ চট্টোপাধ্যায়কে আগামী মরসুমে বাংলায় ফেরানোর চেষ্টা করবেন। চলতি মরসুম শুরু হওয়ার আগেই এই দুই ক্রিকেটার বাংলা ছেড়েছেন। অনেক টালবাহানার পর ঋদ্ধি গিয়েছেন ত্রিপুরায়। সুদীপও তাঁর সঙ্গে একই রাজ্যে গিয়েছেন।

এ দিন স্নেহাশিস বলেন, “ঋদ্ধিমান বাংলার গর্ব। বাংলা থেকে একমাত্র সৌরভ (১১৩) এবং পঙ্কজ রায় (৪৩) ওর থেকে বেশি টেস্ট খেলেছে। বাংলাকে ও অনেক কিছু দিয়েছে এবং এখনও অনেক দেওয়ার রয়েছে। ঋদ্ধির সঙ্গে এখনও আমাদের সম্পর্ক ভাল। আমরা বিশ্বাস রাখি ও বাংলায় ফিরে আসবে। ব্যক্তিগত ভাবে আমি খুশি হব। তবে মরসুমের মাঝপথে ওকে বিরক্ত করতে চাই না। মরসুম শেষ হলে ওর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করব। ওর কাছে বাংলার দরজা সব সময় খোলা।”

সিএবি-র কমিটি আগেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল। সোমবার সেই কমিটি আনুষ্ঠানিক ভাবে দায়িত্ব নিল। ৯১তম বার্ষিক সাধারণ সভা আয়োজন করা এ দিন। নতুন সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব নিলেন স্নেহাশিস। বৈঠকে হাজির ছিলেন তাঁর ভাই তথা প্রাক্তন বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। নতুন অ্যাপেক্স কমিটি তৈরি হল এ দিন। আগামী বছর দেশের মাটিকে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ আয়োজিত হতে চলেছে। বেশ কিছু ম্যাচ ইডেন গার্ডেন্সে আয়োজিত হওয়ার সম্ভাবনা। তাই ইডেনের ক্লাব হাউসের সংস্কার থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাসে ফ্লাডলাইট বসানো, সব বিষয়েই আলোচনা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ২ জুলাই আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছিল ঋদ্ধিমানের। সিএবি-র নো অবজেকশন সার্টিফিকেট পেয়ে যান। শেষ মুহূর্তে বার বার অনুরোধ করার পরেও মন গলেনি ঋদ্ধির। এনওসি পেয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ঋদ্ধি বলেছিলেন, “আমাকে আগে অনুরোধ করা হয়েছিল। আজকেও বার বার অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু আগে থেকেই আমার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গিয়েছে। তাই আজ এনওসি নিয়েই নিলাম।”

বাংলার সঙ্গে ‘ইগোর’ লড়াইয়ে কারণেই কি দল ছাড়লেন? ঋদ্ধির উত্তর ছিল, “বাংলার সঙ্গে কোনও দিন আমার কোনও ইগো ছিল না। হয়তো কোনও ব্যক্তির সঙ্গে মতান্তর হয়ে থাকতে পারে, তার জন্যেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। বাংলার জন্য সব রকম শুভেচ্ছা থাকল। ভবিষ্যতে যদি আমাকে দরকার হয়, পরিস্থিতি ঠিকঠাক থাকে তা হলে সাহায্য করতেই পারি।”

ঋদ্ধি জানিয়েছিলেন, বাংলা ছাড়া নিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর কোনও কথা হয়নি। বলেছেন, “ফোনে কোনও দিনই সে ভাবে আমাদের কথা হয়নি। আগে দু’একবার হয়েছে। তবে বাংলার বিষয়ে কোনও কথা হয়নি। ফোনে যখন সে ভাবে কথাই হয় না, তা হলে এটা নিয়ে আলাদা করে কথা বলতে যাবেন কেন?” সৌরভের সঙ্গে কথা বললে বিষয়টি মিটে যেত? ঋদ্ধির উত্তর, “কী হলে কী হত সেটা এখন ভেবে লাভ নেই। নির্দিষ্ট একটা কারণেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE