ইডেন টেস্ট শেষ হয়েছিল আড়াই দিনে, পার্থ টেস্ট শেষ হল দু’দিনে।
ইডেন টেস্টে হয়েছিল ২০৬ ওভার, পার্থ টেস্টে হল ১৪১ ওভার।
ইডেন টেস্টে স্পিনারেরা ২২টি ও পেসারেরা ১৬টি উইকেট নিয়েছেন, পার্থ টেস্টে সব উইকেট পেসারদের, স্পিনারেরা বল করেছেন তিন ওভার।
ইডেন টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ভারত হারার এক সপ্তাহ পরেও চলছে ঘূর্ণি পিচ নিয়ে কথা কাটাকাটি, আকচাআকচি। পার্থে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়া জেতার পর দ্রুত গতির উইকেট নিয়ে কোথাও কোনও আলোচনা নেই। যদিও ১০৪ বছর পর এমন ঘটনা ঘটল অ্যাশেজ সিরিজ়ে। শেষ বার ১৯২১ সালে নটিংহ্যাম টেস্ট শেষ হয়েছিল দু’দিনে। সেই ম্যাচও জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া।
খেলা শেষ হওয়ার পর দুই শিবিরের কারোর মধ্যে পার্থের অপটাস স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য নেই। এমনকি হেরে যাওয়া ইংরেজ অধিনায়ক বেন স্টোকস খেলা শেষের পর দ্বর্থহীন ভাষায় সব কৃতিত্ব দিয়ে গেলেন ৮৩ বলে ১২৩ রান করা ট্রাভিস হেডকে। বললেন, ‘‘একা হেড হারিয়ে দিল। তিন-চারটে পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু কাজে লাগল না একটাও। আসলে হেড ট্রেন চালাতে শুরু করলে থামানো মুশকিল।’’ বাকি ভাষণে ‘ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব’, ‘হারলেও অনেক ইতিবাচক দিক পেয়েছি’ মার্কা কথাবার্তা। পিচ নিয়ে কোনও আন্দোলন-বিদ্রোহ নেই।
জয়ী অসি শিবিরে তো আরোই নেই। প্যাট কামিন্সের জায়গায় অধিনায়কত্ব করা স্টিভ স্মিথ বললেন, ‘‘দু’দিনে খেল খতম। এ রকম ম্যাচে জয়ী দলের সদস্য হলে তো দারুণ ব্যাপার।’’ দু’দিনে টেস্ট শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে ওটুকুই। বাকিটা হঠাৎ হেডকে ওপেন করতে পাঠিয়ে দেওয়ার মাস্টারস্ট্রোক নিয়ে। স্মথ বললেন, ‘‘প্রথম ইনিংসে নিজেদের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে খুশি ছিলাম না। ভাবছিলাম কী করা যায়। হেড বলল, ও ওপেন করবে। ব্যস, নামিয়ে দিলাম।’’
আরও পড়ুন:
হেড অবশ্য বলে দিলেন, ‘‘আমাকে ওপেন করতে পাঠানোর সিদ্ধান্তটা কোচ আর ক্যাপ্টেনের।’’ দু’দিনে খেলা শেষ করে দেওয়া পিচ নিয়ে বললেন, ‘‘ব্যাট করে দারুণ লাগল। ওদের পরিকল্পনা বুঝে গিয়েছিলাম। জানতাম শর্ট পিচ বল করবে। স্টার্ক আমাদের যে জায়গায় পৌঁছে দিয়েছিল, সেই সুযোগটা হাতছাড়া করতে চাইনি।’’