জ়িম্বাবোয়েকে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ়ের ফাইনালে উঠেছে পাকিস্তান। দলের জয়ের পাশাপাশি ব্যক্তিগত কীর্তি গড়েছেন দুই ক্রিকেটার বাবর আজ়ম ও সলমন আলি আঘা। বিরাট কোহলিকে ছুঁলেন বাবর। সলমন ভাঙলেন রাহুল দ্রাবিড় ও মহেন্দ্র সিংহ ধোনির রেকর্ড।
চতুর্থ ম্যাচে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন বাবর। তিন নম্বরে নেমে ৫২ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। সাতটি চার ও দু’টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। এই ম্যাচে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের ৩৮তম অর্ধশতরান করেছেন বাবর। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কোহলিও ৩৮টি অর্ধশতরান করেছেন। ১২৫ ম্যাচে ৩৮ অর্ধশতরান কোহলির। বাবর ৩৮ শতরান করতে ১৩৪ ম্যাচ নিয়েছেন। ৩৮ অর্ধশতরানের পাশাপাশি তিনটি শতরানও রয়েছে বাবরের। কোহলির রয়েছে একটি শতরান।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি রান বাবরের। ৪৩৯২ রান করেছেন তিনি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন রোহিত শর্মা। ১৫৯ ম্যাচে তিনি করেছেন ৪২৩১ রান। তবে অর্ধশতরানের নিরিখে বাবর ও কোহলি পরে রয়েছেন রোহিত (৩২)। তিন নম্বরে থাকা কোহলি করেছেন ৪১৮৮ রান। অর্ধশতরানের নিরিখে চার নম্বরে পাকিস্তানের মহম্মদ রিজ়ওয়ান। বাবরের সতীর্থ ১০৬ ম্যাচে ৩০ অর্ধশতরান করেছেন।
আরও পড়ুন:
রেকর্ড গড়েছেন পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সলমন। ২০২৫ সালে দেশের হয়ে নিজের ৫৪তম ম্যাচ খেলে ফেলেছেন তিনি। এক বছরে এত আন্তর্জাতিক ম্যাচ আর কোনও ক্রিকেটার খেলেননি। ১৯৯৯ সালে রাহুল দ্রাবিড় ও ২০০৭ সালে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি মোট ৫৩ ম্যাচ খেলেছিলেন। তাঁদের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন সলমন।
তবে ১৯৯৯ সালে টি-টোয়েন্টি ছিল না। দ্রাবিড় সেই বছর ৪৩ এক দিনের ম্যাচ ও ১০ টেস্ট খেলেছিলেন। ২০০৭ সালে সবে ছোট ফরম্যাটের খেলা শুরু হয়েছিল। ধোনি সে বছর খেলেছিলেন ৩৭ এক দিনের ম্যাচ, ৮ টেস্ট ও ৮ টি-টোয়েন্টি। সলমন তুলনায় অনেক বেশি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। তিনি ৩২ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। পাশাপাশি চলতি বছর পাকিস্তানের হয়ে ১৭ এক দিনের ম্যাচে ও ৫ টেস্ট খেলেছেন তিনি।