বুধবার ভারত এশিয়া কাপে দাপটে জিতে অভিযান শুরু করেছে। শুক্রবার ওমানের বিরুদ্ধে নামছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান। তার আগে পাক কোচ মাইক হেসনের মন্তব্যে বিস্মিত ক্রিকেটদুনিয়া। তিনি জানিয়েছেন, মহম্মদ নওয়াজ়ই এখন বিশ্বের সেরা স্পিনার।
সদ্য সমাপ্ত ত্রিদেশীয় সিরিজ়ের ফাইনালে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেট পেয়েছিলেন নওয়াজ়। প্রতিযোগিতায় করেছিলেন হ্যাটট্রিকও। তার পর থেকেই নওয়াজ়কে নিয়ে চর্চা অব্যাহত। তবে হেসনের করা মন্তব্যে মজাপেয়েছেন ভক্তরাও।
স্বভাবতই ওমানের বিরুদ্ধে ম্যাচ হলেও হেসনের কাছে প্রশ্ন আসে ভারতের সঙ্গে দ্বৈরথ নিয়েও। দুবাইয়ে রবিবার সম্ভবত রিস্ট স্পিনার (কব্জির মোচড়ে যারা বল ঘোরান)-রা কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারেন। কারণ সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে মাত্র সাত রান দিয়ে চার উইকেট পেয়েছিলেন কুলদীপ। ভারতের দিকে যেমন রয়েছেন কুলদীপ ছাড়াও রয়েছেন সি ভি বরুণ, তেমনই পাকিস্তানের জার্সিতে নামবেন আবরার আহমেদ ও সুফিয়ান মুকিম। সেই প্রসঙ্গে পাক কোচ হেসন বলেছেন, “আবরার বা সুফিয়ানের মতো রিস্ট স্পিনার দলে থাকলে পিচের চরিত্র নিয়ে আদৌ কিছু যায় আসে না। আমাদের দলে পাঁচ জন স্পিনার আছে। রয়েছেন নওয়াজ়ের মতো বাঁ- হাতি স্পিনার, যিনি এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা স্পিন বোলার।” তবে অবাক করার মতো তথ্য হল বর্তমানে নওয়াজ় রয়েছেন টি-টোয়েন্টিতে বোলারদের ক্রমতালিকায় ৩০ নম্বরে।
এখানেই না থেমে হেসনের আরও বক্তব্য, “সইয়ুম আয়ুব বিশ্বের সেরা ১০ অলরাউন্ডারের মধ্যে অন্যতম। তা ছাড়াও আমাদের দলে পাঁচ জন পেসার রয়েছে। যারা শুধু গতি নয়, রিভার্স সুইংয়েও পারদর্শী।” পাক সমর্থকদের নজর থাকবে শাহিন শাহ আফ্রিদির দিকেও। বুধবারই প্রাক্তন পাক অলরাউন্ডার ওয়াসিম আক্রম বলেছিলেন, “শাহিনকে এশিয়া কাপে সেরা ছন্দে পাওয়া যাবে।”
রবিবার ভারত-পাক দ্বৈরথের আগে শুক্রবার ওমানের বিরুদ্ধে দলকে দেখে নেওয়াই কার্যত লক্ষ্য পাক অধিনায়ক সলমন আলি আঘার। তবে তাঁর চোট নিয়ে প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে। বুধবার পাকিস্তানের অনুশীলনে নেটে ব্যাট করতে দেখা যায়নি তাঁকে। এমনকি শারীরিক কসরতও করেননি। ফলে ওমানের বিরুদ্ধে তাঁর খেলা নিয়ে সংশয় থাকলেও পাক বোর্ড জানিয়েছে, ওমানের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগেই সুস্থ হয়ে উঠবেন সলমন। তিনি বলেছেন, “আমরা শুরু থেকেই এশিয়া কাপের কথা ভেবে প্রস্তুতি নিয়েছি। ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজ়ের পর থেকে দুরন্ত ছন্দে রয়েছি।” পাকিস্তানের প্রধান শক্তি তাদের তরুণ ব্রিগেড। তবে সইম আয়ুব, ফখর জ়মান, মহম্মদ নওয়াজ়ের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা নিজেদের দিনেই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।
অন্য দিকে এশিয়া কাপে প্রথম বার খেলতে নামা ওমান বড় স্বপ্নের সন্ধানে সওয়ার হতে চায়। সিংহভাগই পেশাদার ক্রিকেটার নন। অফিসের কাজ করে তাঁরা ক্রিকেট খেলেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)