আইপিএলের অন্যতম সফল অধিনায়ক হিসাবে বিবেচিত হচ্ছেন শ্রেয়স আয়ার। তিনিই এক মাত্র ক্রিকেটার, যাঁর নেতৃত্বে তিনটি দল ফাইনালে উঠেছে। কলকাতা নাইট রাইডার্সকে গত বছর চ্যাম্পিয়ন করেছেন। এ বার পঞ্জাব কিংসকেও ফাইনালে তুলেছেন। ব্যাট হাতেও ধারাবাহিক ভাবে রান করেছেন। অধিনায়ক শ্রেয়সের সাফল্যের রহস্য কী? এক সাক্ষাৎকারে ৩০ বছরের ব্যাটার কথা বলেছেন নিজের নেতৃত্ব নিয়ে।
আইপিএলের পর মুম্বই টি-টোয়েন্টি লিগ খেলছেন শ্রেয়স। সেই ব্যস্ততার মাঝে কথা বলেছেন শ্রেয়স। নেতৃত্ব দিতে ভালবাসেন বলে জানিয়েছেন। বিশ্বাস করেন, নেতৃত্বের দায়িত্ব তাঁর সেরাটা বের করে আনে। শ্রেয়স বলেছেন, ‘‘নেতৃত্বের দায়িত্ব পরিণতিবোধ এবং দায়িত্ববোধ তৈরি করে। সব সময় সেরা পারফরম্যান্স আশা করা হয়। দলের সকলের থেকেই করা হয়। আমরা কোনও সমস্যা বা বাধার মুখোমুখি হলে অধিনায়কের কাছেই যাই। সমস্যার সমাধান করাই অধিনায়কের দায়িত্ব।’’ শ্রেয়স আরও বলেছেন, ‘‘অধিনায়কত্ব আমার কাছে নতুন কিছু নয়। ২২ বছর বয়স থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছি। যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার। বরাবরই নেতৃত্ব উপভোগ করি। আন্তরিক ভাবে চেষ্টা করি। আসলে অধিনায়কত্ব করে আমার বেশ লাগে।’’
আইপিএলের মতো প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলার পর মুম্বই টি-টোয়েন্টি লিগ কতটা উপভোগ করছেন? শ্রেয়স বলেছেন, ‘‘ফর্ম ধরে রাখতে চাইছি। চেষ্টা করি যতটা সম্ভব ভাল খেলার। খেলার সময় যতটা সম্ভব মনঃসংযোগ বজায় রাখার চেষ্টা করি। যে কোনও পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে চাই। যে ম্যাচটা খেলি, শুধু সেই ম্যাচটা নিয়েই ভাবি। আমার সমস্যা হয় না।’’ ক্রিকেটপ্রেমীদের চিৎকার উদ্বুদ্ধ করে শ্রেয়সকে। মানুষের উৎসাহ তাঁকে উত্তেজিত করে তোলে। শ্রেয়স বলেছেন, ‘‘মানুষের মধ্যে থাকার চেষ্টা করি। ক্রিকেটপ্রেমীরা সারাক্ষণ আমার মনের মধ্যে থাকেন। তাঁদের কাছ থেকে একটা শক্তি পাই। অনেকটা বিদ্যুতের মতো। তাঁদের শরীর থেকে যেটা আমার শরীরে চলে আসে। এই উত্তাপটা দারুণ। মানুষ আমার নাম ধরে চিৎকার করলে ভাল লাগে। খুব অনুপ্রাণিত হই।’’
কেকেআর ছেড়ে দেওয়ার পর আইপিএলের গত নিলামে ২৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা দিয়ে শ্রেয়সকে কিনেছিলেন পঞ্জাব কর্তৃপক্ষ। হতাশ করেননি শ্রেয়স। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি ১৭টি ম্যাচে ৬০৪ রান করেছেন। তাঁর পারফরম্যান্স অবশ্য জাতীয় নির্বাচকদের মন জিততে পারেনি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ টেস্টের ভারতীয় দলে জায়গা পাননি শ্রেয়স। সে সব নিয়ে ভাবছেন না শ্রেয়স। আপাতত তাঁর লক্ষ্য সোবো মুম্বই ফ্যালকন্সকে মুম্বই টি-টোয়েন্টি লিগ চ্যাম্পিয়ন করা।