অ্যাশেজ়ের প্রথম টেস্ট শেষ হয়ে গিয়েছিল দু’দিনেই। পার্থের পিচে প্রথম দিন পড়েছিল ১৯ উইকেট। দ্বিতীয় দিন সেই পিচেই চতুর্থ ইনিংসে শতরান করে দলকে জিতিয়েছিলেন ট্রেভিস হেড। সেই পিচকে ‘খুব ভাল’ আখ্যা দিয়েছে আইসিসি। তবে ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের পিচ তাদের কাছে ‘সন্তোষজনক’। কোনওটিই দু’দিনে শেষ হয়নি।
ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ়ের পিচ কেমন ছিল, তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত জানায়নি আইসিসি। তবে ইডেন গার্ডেন্সে প্রথম টেস্টের পিচ নিয়ে অখুশি ছিল দুই দলই। ভারত স্পষ্ট বলেই দিয়েছিল, এ ধরনের পিচ আশা করেনি তারা। যদিও গৌতম গম্ভীর জানিয়েছিলেন, এমন পিচই তাঁরা চেয়েছিলেন।
তার আগে ভারতে এসে দু’টি টেস্ট খেলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। দু’টি ক্ষেত্রেই পিচকে ‘সন্তোষজনক’ আখ্যা দিয়েছে আইসিসি। অহমদাবাদ এবং দিল্লির টেস্ট শেষ হয়েছিল যথাক্রমে তিন এবং পাঁচ দিনে।
তবে ভারতের পিচগুলির থেকেও যে দু’দিনে শেষ হওয়া পার্থ টেস্টের পিচ ভাল, এটা বুঝিয়ে দিয়েছে আইসিসি। পার্থ টেস্টের ম্যাচ রেফারি রঞ্জন মদুগালে পিচকে ‘খুব ভাল’ আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর যুক্তি, ওই টেস্টে ব্যাট এবং বলের ভাল লড়াই দেখা গিয়েছে। আইসিসি-র নিয়মে, যে পিচে বল ভাল ভাবে ব্যাটে আসে, সেলাইয়ের নড়াচড়া কম হয় এবং ম্যাচের শুরুতে ধারাবাহিক বাউন্স থাকে, সেই পিচকে ‘খুব ভাল’ আখ্যা দেওয়া হয়। পার্থে চারটি ইনিংসে মাত্র ৮৪৭টি বল হয়েছে। ১৮৮৮-র পর এই প্রথম একটি অ্যাশেজ় টেস্ট শেষ হয়ে দু’দিনে। তা সত্ত্বেও সেই পিচকে ভারতের চেয়েও ভাল বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়া বোর্ডের ক্রিকেটপ্রধান জেমস আলসপ এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। বলেছেন, “ম্যাচ রেফারির ‘খুব ভাল’ রেটিং এটাই প্রমাণ করে যে, পার্থের স্টেডিয়ামের পিচে ব্যাট এবং বলের সমান লড়াই দেখা গিয়েছে। দুটো দলের দুর্দান্ত পেস বোলিং এবং ম্যাচের উত্থান-পতনের কারণেই খেলা দু’দিনে শেষ হয়ে গিয়েছে।”