পয়লা বৈশাখের দিন পঞ্জাব থেকে সম্মান বাঁচিয়ে ফিরতে পারেননি অজিঙ্ক রাহানেরা। মুল্লানপুরে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ১৬ রানে হারিয়ে দিয়েছিল শ্রেয়স আয়ারের পঞ্জাব কিংস। শনিবার ইডেন গার্ডেন্সে আবার প্রাক্তন অধিনায়কের দলের চ্যালেঞ্জ সামলাতে হবে নাইটদের। আট ম্যাচের পাঁচটি হেরে চাপে থাকা রাহানেদের সামনে আরও একটা কঠিন লড়াই। সম্মান রক্ষারও।
প্রথম ম্যাচে রান পাননি শ্রেয়স। কেকেআর কর্তৃপক্ষকে অপমানের জবাব দেওয়ার জন্য ইডেনের চেনা ২২ গজকে বেছে নিতে পারেন তিনি। ১০ বছর পর কেকেআরকে আইপিএল জিতিয়েও প্রত্যাশিত গুরুত্ব পাননি শ্রেয়স। তাঁকে ছেঁটে ফেলেন কেকেআর কর্তৃপক্ষ। পঞ্জাব কিংস অধিনায়ক হিসাবে প্রথম ম্যাচে জয় পেলেও ক্রিকেটার শ্রেয়সের জবাব দেওয়া হয়নি।
‘বিতাড়িত’ শ্রেয়স জানেন কেকেআর শিবিরের সব কিছু। কলকাতার শক্তি, দুর্বলতা সব। কেকেআরের প্রথম দলের প্রায় সব ক্রিকেটারকে হাতের তালুর মতো চেনেন। যেমন চেনেন ইডেনের ২২ গজ। কারণ গত মরসুমেও দলটা ছিল তাঁর। স্বভাবতই কেকেআরের বিরুদ্ধে রণকৌশল তৈরি করতে সমস্যা হওয়ার কথা নয় পঞ্জাব শিবিরের।
খাতায় কলমে দু’দলের শক্তির তেমন পার্থক্য না থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে অনেকটাই পিছিয়ে। কেকেআরের ব্যাটিং ভোগাচ্ছে প্রায় প্রতি ম্যাচে। ধারাবাহিকতা নেই কোনও ব্যাটারের। এখনও সেরা বোলিং লাইন আপ বেছে নিতে পারেনি চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। স্পেনসার জনসন, মঈন আলি, অনরিখ নোখিয়াদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানো হচ্ছে। আন্দ্রে রাসেলও হতাশ করে চলেছেন। বেঙ্কটেশ আয়ারও তথৈবচ। এখনও দানা বাঁধেনি কেকেআরের ওপেনিং জুটি। প্রতিযোগিতার মাঝ পথে এসেও ইডেনের পিচ ঠিক মতো পড়তে পারছেন না রাহানেরা! সব মিলিয়ে গত বারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নেরা বেশ চাপে। শনিবার পঞ্জাবের কাছে হারলে প্লে-অফের রাস্তা আরও কঠিন হবে।
আরও পড়ুন:
অন্য দিকে, শ্রেয়সের পঞ্জাব আটটি ম্যাচের পাঁচটি জিতে প্লে-অফের দৌড়ে রয়েছে ভাল ভাবেই। পঞ্জাবের ব্যাটার এবং বোলারেরাও ফর্মে রয়েছেন। প্রথম ম্যাচে কেকেআরকে হারানোর পর শ্রেয়স সমাজমাধ্যমে পঞ্জাবিতে লিখেছেন, ‘চারদি কালা’। বাংলায় এর অর্থ, যে শক্তি ক্রমশ বাড়ছে। শনিবারের ইডেনেও সেই শক্তির পরিচয় দিতে মুখিয়ে থাকবেন শ্রেয়স। সঙ্গে তাঁর ব্যাট কথা বললে তো কথাই নেই।