চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে টান টান লড়াইয়ে জেতার পর তখন সবে বাসে চেপে বেরোচ্ছেন বেঙ্গালুরুর ক্রিকেটারেরা। কিন্তু বাস এগোবে কী! চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে লোকে লোকারণ্য। বাস এগোতেই পারছিল না। কোনও মতে বাস বার করতে গিয়ে হিমসিম খেলেন পুলিশকর্মীরা। তা দেখেই সমর্থকদের জন্য ট্রফি জেতার সঙ্কল্প নিয়ে ফেলল বেঙ্গালুরু।
আয়ুষ মাত্রে এবং রবীন্দ্র জাডেজার দাপটে এক সময় ম্যাচ বার করেই দিয়েছিল চেন্নাই। কিন্তু মাত্রে ফেরার পর রানের গতি বজায় রাখতে পারেনি তারা। যশ দয়ালের শেষ ওভার জিতিয়ে দেয় বেঙ্গালুরুকে।
রবিবার একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছে বেঙ্গালুরু। সেখানে দেখা গিয়েছে, চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন হাজার হাজার সমর্থক। ‘আরসিবি, আরসিবি’ চিৎকারে মুখরিত আকাশ। রাত ১২.৩০টা বাজে তখন। তবু কেউ বাড়ি ফেরেননি। বাসের ভেতর থেকে ক্রিকেটারেরা মোবাইলে তা ক্যামেরাবন্দি করছিলেন। পুলিশকে হিমসিম খেতে হয় ভিড় সামাল দিতে।
কেউ কেউ বাসের সামনে এসে ক্রিকেটারদের নামে জয়ধ্বনি দিচ্ছিলেন। বাস এগোনোর পরে অনেকেই বাইকে চেপে বাসের পিছু নেন। বাইকে গোঁজা ছিল বেঙ্গালুরুর পতাকা। অনেকেই হেলমেট পরেননি। সে কারণে আরসিবি-র ভিডিয়োতেও বলা হয়েছে, বাইক আরোহী সমর্থকেরা যেন হেলমেট পরতে না ভোলেন।
আরও পড়ুন:
এত ভিড় বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না ক্রুণাল পাণ্ড্য। তিনি বলেছেন, “এত লোক আরসিবিকে সমর্থন করেন। ওঁদের জন্য আমাদের ট্রফি জিততেই হবে। যে করেই হোক। ভাবুন যে আমরা ট্রফি জিতলে ওঁরা কী করবেন।”
এখনও পর্যন্ত এক বারও ট্রফি জেতেনি আরসিবি। তবে সমর্থকদের ভালবাসা একটুও কমেনি। প্রতিটি ম্যাচেই মাঠ ভরিয়ে দেন সমর্থকেরা। এ বার বেঙ্গালুরু খেলছেও চ্যাম্পিয়ন দলের মতো। ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফ প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে তারা।