১৭তম ওভারে যখন তিনি ব্যাট করতে নেমেছিলেন, তখন চেন্নাইয়ের দরকার ছিল ৪২ রান। হ্যাটট্রিকের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন লুনগি এনগিডি। তাঁকে হ্যাটট্রিক করতে দেননি ঠিকই, তবে দলকে জেতাতেও পারেননি। তাঁর আট বলে ১২ রান পরিস্থিতি আরও কঠিন করে দেয়। বেঙ্গালুরুর কাছে হারের দায় তাই নিজের কাঁধেই নিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। চেন্নাই অধিনায়ক জানালেন, তিনি ভাল খেলতে পারেননি।
ম্যাচের পর ধোনি বলেছেন, “যখন ব্যাট করতে নেমেছিলাম, তখন অনেকটা রান দরকার ছিল। হাতে বলও কম ছিল। আমার মনে হয়, চাপ কমানোর জন্য আরও অন্তত দুটো বড় শট খেলার দরকার ছিল। সেটা আমি পারিনি। তাই দোষ আমারই।”
বেঙ্গালুরুর প্রশংসা করেও দলের বোলারদের পরামর্শ দিয়েছেন ধোনি। তাঁর মতে, চেন্নাই বোলারদের আরও বেশি করে ইয়র্কার অনুশীলন করতে হবে, যাতে আগামী দিনে রোমারিয়ো শেফার্ডের মতো কেউ শেষ বেলায় ঝড় তুলতে না পারেন।
ধোনি বলেছেন, “শেফার্ড ব্যাট করতে আসার আগে পর্যন্ত আমরা ভাল বল করছিলাম। কিন্তু শেফার্ড দুর্দান্ত খেলল। যেখানেই বল পড়ুক, ও চালিয়ে মাঠের বাইরে পাঠাচ্ছিল। আমাদের আরও বেশি করে ইয়র্কার অনুশীলন করতে হবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ব্যাটারেরা চালিয়ে খেলা শুরু করলে ইয়র্কারের উপর নির্ভর করতে হয়। ইয়র্কারের ক্ষেত্রে ভুল যথাসম্ভব কম করতে হয়। তাই নিখুঁত ইয়র্কার না হলেও নিচু ফুলটস করা যেতেই পারে। ইয়র্কারে বড় শট খেলা খুবই কঠিন।”
আরও পড়ুন:
শ্রীলঙ্কার বোলার মাথিশা পাথিরানার আলাদা করে প্রশংসা করেছেন ধোনি। বলেছেন, “পাথিরানা যদি ইয়র্কার না দিতে পারে, তা হলে গতি দিয়ে বাজিমাত করার চেষ্টা করে। ও বাউন্সার করতে পারে। ব্যাটারকে বিভ্রান্ত করতে পারে। তাই ও বল করতে এলে ব্যাটারেরা চেষ্টা করে অন্য ধরনের শট (স্কুপ) খেলতে। তবে বেশির ভাগই সেটা পারে না।”
ইয়র্কার সামলাতে অনেককেই দেখা যায় ব্যাটকে চামচের মতো ব্যবহার করে বল উইকেটকিপারের পিছন দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠাতে। এটি সাধারণত ‘স্কুপ’ নামে পরিচিত। তবে ধোনির মতে, অনেকেই এই শটের সঙ্গে সড়গড় নন। তাঁর কথায়, “এই শট নিখুঁত ভাবে খেলতে পারলে খুবই ভাল। না পারলে তখন সমস্যা হবে। আধুনিক যুগে হয়তো এই শট আরও অনুশীলন করা দরকার। তবে আমাদের দলের ব্যাটারেরা এই ধরনের শট খেলতে অভ্যস্ত নয়।”