পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে কিছুটা চাপে দক্ষিণ আফ্রিকা। শান মাসুদের দলের প্রথম ইনিংস ৩৭৮ রানে শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় দিনের শেষে এডেন মার্করামদের রান ৬ উইকেটে ২১৬। এখনও ১৬২ রানে পিছিয়ে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ব্যাট হাতে রান না পেলেও ফিল্ডিংয়ে নজর কাড়লেন বাবর আজ়ম। স্লিপে দাঁড়িয়ে ডান দিকে কোনাকুনি সামনে ঝাঁপিয়ে ধরলেন দুর্দান্ত ক্যাচ। বাবরের এই ক্যাচে ভেঙে যায় তৃতীয় উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার ৯৪ রানের জুটি। আউট হন ওপেনার রায়ান রিকেলটন (৮০)। তাঁর সঙ্গে টনি ডি জ়োরজ়ির এই জুটি ছাড়া লাহোরের ২২ গজে বড় জুটি তৈরি করতে পারল না দক্ষিণ আফ্রিকা। মার্করাম ওপেন করতে নেমে নোমান আলির বলে আউট হয়ে যান ২০ রান করে। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা উইয়ান মুলডারকেও (১৭) আউট করেন নোমান। ৩৯ বছরের বাঁহাতি স্পিনারের বল খেলতে সমস্যায় পড়লেন প্রোটিয়া ব্যাটারেরা। পরে দিকের ব্যাটারেরাও দলকে ভরসা দিতে পারেননি। ট্রিস্টান স্টাবস (৮), ডেওয়াল্ড ব্রেভিস (শূন্য), কাইল ভেরেইনেরা (২) পর পর আউট হয়ে যান। দিনের শেষে ২২ গজে রয়েছেন জ়োরজ়ি (৮১) এবং সেনুরান মুথুস্বামী। ৮৫ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন নোমান। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন সলমন আঘা এবং সাজিদ খান।
দ্বিতীয় দিন সকালে পাকিস্তানের ইনিংস টেনে নিয়ে যান আগের দিনের দুই আপরাজিত ব্যাটার মহম্মদ রিজ়ওয়ান এবং সলমন। রিজ়ওয়ানের ব্যাট থেকে এসেছে ৭৫ রানের ইনিংস। ২টি করে চার এবং ছয় মেরেছেন তিনি। সলমন শতরান হাতছাড়া করেন সাত রানের জন্য। তাঁর ৯৩ রানের ইনিংসে রয়েছে ৫টি চার এবং ৩টি ছয়। পাকিস্তানের শেষ দিকের ব্যাটারেরা অবশ্য দাঁড়াতে পারেননি। অধিনায়ক মাসুদ-সহ পাকিস্তানের চার ব্যাটার শূন্য রানে আউট হয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার সফলতম বোলার মুথুস্বামী ১১৭ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন।
প্রথম ৯৩ রানের ইনিংস খেলার পর সমালোচকদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন পাকিস্তানের ওপেনার ইমাম উল হক। প্রথম দিনের খেলার শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘ব্যাটিং এবং শট মারার ব্যাপারে প্রচুর পরিশ্রম করেছি। তবে শৃঙ্খলার ব্যাপারে উন্নতির জন্য কিছুই করিনি। আমার কখনও শৃঙ্খলাজনিত সমস্যা ছিল বলেও জানা নেই। আমার মানসিকতা নিয়েও কেউ কখনও প্রশ্ন তোলেনি।’’ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলার পর এই প্রথম টেস্ট খেললেন ইমাম। তাঁর ফিরে আসা সম্পর্কে নানা প্রশ্ন করেন সাংবাদিকেরা। তেমনই একটি প্রশ্ন শুনে অসন্তুষ্ট হন তিনি।
আরও পড়ুন:
প্রায় দু’বছর পর টেস্ট খেলার সুযোগ প্রসঙ্গে ইমাম বলেছেন, ‘‘এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাই না। তবে যা যা শিখেছি, সুযোগ পেলে সেগুলো কাজে লাগানোর চেষ্টা করি। যতটা সম্ভব সুযোগ কাজে লাগাতে চাই। কারণ আমরা ভাগ্যবান। পাকিস্তানের মতো জনবহুল দেশের হয়ে খেলার সুযোগ পাই।’’