রোহিত শর্মা। ছবি: পিটিআই।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে একপেশে জয় এসেছে। আমদাবাদে ১৯২ রান ৩ উইকেট হারিয়েই জয়ের রান তুলে নিয়েছে ভারত। রোহিত শর্মার ব্যাটে এবং বোলারদের দাপটে বহু প্রতীক্ষিত এই ম্যাচ জিততে কোনও সমস্যাই হয়নি। বিশ্বকাপের আগে থেকে এই ম্যাচ নিয়ে তুমুল চর্চা হচ্ছিল। সেই ম্যাচ জিততে পেরেও উত্তেজিত নন রোহিত। তাঁর কাছে পাখির চোখ এখনও আটটি ম্যাচ। অর্থাৎ সেমিফাইনাল এবং ফাইনালও রয়েছে তাঁর হিসাবের মধ্যে।
গ্রুপে প্রত্যেকটি দলকেই ন’টি ম্যাচ খেলতে হচ্ছে। সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল মিলিয়ে মোট ১১টি ম্যাচ খেলতে হবে। অর্থাৎ ভারত ফাইনালে উঠলে আরও আটটি ম্যাচ বাকি। সেই প্রসঙ্গেই রোহিত বলেছেন, “এখন মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। আমরা অতিরিক্ত উত্তেজিত হতে চাই না। আবার খুব যে মনমরা হয়ে থাকব তেমনটাও নয়। বিশ্বকাপ একটা লম্বা প্রতিযোগিতা। লিগে ৯টা ম্যাচ রয়েছে। তার উপর সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল রয়েছে। দলের ভারসাম্য বজায় রেখে এগিয়ে যেতে হবে আমাদের।”
নিজে ব্যাট হাতে লক্ষ্যমাত্রার প্রায় অর্ধেক রান করলেও বোলারদেরই যাবতীয় কৃতিত্ব দিয়েছেন রোহিত। বলেছেন, “ওরাই ম্যাচটা জেতাল আমাদের। এই পিচে ১৯০ রানে ওদের আটকে রাখা সহজ কাজ নয়। এই পিচ মোটেই ১৯০ রানের নয়। একসময় আমরা ভাবছিলাম হয়তো ২৮০ বা ২৯০ তাড়া করতে হবে। কিন্তু আমাদের দলে যার হাতেই বল দেওয়া হয় সেই কাজের কাজ করে দেয়। ছ’জন এমন ক্রিকেটার রয়েছে যারা কাজটা করতে পারে। হয়তো সবার দিন সমান যায় না। যার দিন ভাল যাচ্ছে তাকেই আসল কাজ করতে হয়। অধিনায়ক হিসাবে আমার কাজও গুরুত্বপূর্ণ। কে কোন দিন ভাল বল করছে সেটার খেয়াল রাখতে হয় আমায়।”
পাকিস্তানকে হারিয়েও প্রতিপক্ষ হিসাবে তাদের বাড়তি গুরুত্ব দিতে রাজি হননি রোহিত। বলেছেন, “আমরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে খুবই আগ্রহী ছিলাম। কিন্তু আমরা যাদের বিরুদ্ধেই খেলি না কেন, তারা আমাদের হারাতে পারে। তাই সবার বিরুদ্ধেই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। নির্দিষ্ট দিনে আমাদের ভাল খেলতে হবে। আগে কী হয়েছে বা ভবিষ্যতে কী হবে এটা মাথায় রাখি না কখনওই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy