দিল্লি বিরাট কোহলির ঘরের মাঠ। সেখানে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলতে নেমেছিলেন তিনি। কোহলির দলের বিরুদ্ধে দিল্লি ক্যাপিটালস প্রথমে ব্যাট করে তুলল ১৬২ রান। ঘরের মাঠে জিততে মরিয়া কোহলি।
টস জিতে দিল্লিকে ব্যাট করতে পাঠান বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক রজত পটীদার। তাঁর মনে হয়েছিল, দিল্লির পিচ খুব একটা বদলাবে না। সেই কারণেই পরে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। প্রথম দিকে বেঙ্গালুরুর বোলারেরা যে এতটা সাহায্য পাবেন, সেটা ভেবেছিলেন কী?
শুরুতেই বাংলার অভিষেক পোড়েল ঝড় তুলেছিলেন। ১১ বলে ২৮ রান করে যান তিনি। অভিষেককে ফেরান জস হেজলউড। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই পরের ওভারে করুণ নায়ার (৪) আউট হয়ে যান। ক্রিজ়ে তখন বেঙ্গালুরুর প্রাক্তন অধিনায়ক ফ্যাফ ডু’প্লেসি। নায়ার আউট হওয়ার পর তাঁর সঙ্গী হন লোকেশ রাহুল। যিনি বেঙ্গালুরুতে প্রায় একাই জিতিয়েছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসকে। বেঙ্গালুরুর দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার মিলে যদিও ২৮ রানের বেশি করতে পারেননি। ২২ রান করে আউট হয়ে যান ডু’প্লেসি। তিনি ক্যাচ দেন কোহলির হাতে।
রাহুল তখন মরিয়া ভাবে চেষ্টা করছেন দলকে রানে ফেরাতে। কিন্তু দিল্লির অধিনায়ক অক্ষর পটেল (১৫), ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নামা আশুতোষ শর্মা (২) বা ভিপরাজ নিগমের (১২) মধ্যে কেউই রান করতে পারেননি। রাহুল ৪১ রান করলেও ৩৯টি বল খেললেন। স্বাভাবিক ভাবে রান করতে পারছিলেন না তিনি। কৃতিত্ব দিতে হবে সুযশ শর্মার। ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান দেন তিনি। মিডল ওভারে দিল্লির রান আটকে রাখার কাজটা করেন তিনিই। ক্রুণাল পাণ্ড্যও ৪ ওভারে দেন মাত্র ২৮ রান। একটি উইকেটও নেন তিনি। ভুবনেশ্বর কুমার ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে তুলে নেন তিনটি উইকেট। তাঁদের কৃপণ বোলিং গোটা ইনিংসেই চাপে রাখে দিল্লিকে। ফলে ১৬২ রানের বেশি করতে পারেনি তারা।