এক দিনের ক্রিকেটে মুখোমুখি সাক্ষাতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত দু’টির বেশি ম্যাচ জিততে পারেনি আফগানিস্তান। শুক্রবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও তার ব্যতিক্রম হল না। রায়ান রিকেলটনের শতরান এবং বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আফগানিস্তানকে অনায়াসে ১০৭ রানে হারিয়ে দিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
গ্রুপ বি-তে দুর্বলতম দল আফগানিস্তানই। তবে সাম্প্রতিক কালে বড় দেশগুলিকে হারানোর ইতিহাস রয়েছে তাদের। যদিও শুক্রবার করাচিতে রশিদ খানেরা মন জয় করতে পারলেন না। ম্যাচের আগাগোড়াই দাপট দেখালেন প্রোটিয়া ক্রিকেটারেরা। একা রহমত শাহের লড়াই ছাড়া তাদের পক্ষে বলার মতো কিছুই নেই।
টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। এ দিন ওপেনিংয়ে নিজের জায়গা ছেড়ে দিয়েছিলেন রিকেলটনকে। সেই আস্থার দাম রাখলেন তরুণ ব্যাটার। শুরুতে টনি ডি’জর্জিকে (১১) হারালেও রিকেলটন এবং বাভুমা জুটি গড়েন। দ্বিতীয় উইকেটে দু’জনের ১২৯ রানের জুটি দক্ষিণ আফ্রিকাকে শক্তি ভিতের উপর দাঁড় করিয়ে দেয়। বাভুমা (৫৮) ফিরলেও রিকেলটন (১০৩) শতরান করে যান।
এর পর দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে যাঁরাই ব্যাট করতে এসেছেন, কিছু না কিছু অবদান রেখেছেন। রান পেয়েছেন রাসি ভান ডার ডুসেন (৫৮), এডেন মার্করাম (অপরাজিত ৫২)। তিনশো রানের গন্ডি পার হয় মার্করামের ঝোড়ো ইনিংসের সৌজন্যেই।
আরও পড়ুন:
৩১৬ রানের বড় লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে আফগানিস্তানকে দেখে কোনও সময়েই মনে হয়নি ম্যাচ জিততে পারে তারা। বড় রান তাড়া করতে গেলে দরকার বড় জুটি। সেটাই করতে পারেননি রশিদেরা। শুরু থেকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়েছে আফগানরা। একটিও ৫০ রানের জুটি নেই। একমাত্র লড়াই করেছেন রহমত। অপর দিক থেকে একের পর উইকেট পড়লেও তিনি ক্রিজ় কামড়ে পড়ে থেকেছেন। তবে শেষ দিকে ধৈর্যচ্যুতি ঘটে তাঁরও। আর একটু পড়ে থাকলেই শতরান করতে পারতেন। তা না করে ৯০ রানে ফিরে যান রহমত। বাকি কোনও ব্যাটার ২০ রানও করতে পারেননি।