—ফাইল চিত্র
ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পিছনে অন্যতম কারণ ধরা হয় শেষ ওভারে যোগীন্দর শর্মাকে দিয়ে বল করানো। অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সেই সিদ্ধান্ত নাকি বাধ্য হয়ে নেওয়া। এমনটাই জানালেন পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক শোয়েব মালিক। তিনি জানিয়েছেন, ভারতের বোলাররা নাকি ভয় পাচ্ছিল মিসবা উল হককে বল করতে।
২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয় ভারত এবং পাকিস্তান। সেই ম্যাচের শেষ ওভারে বল করেন যোগীন্দর। শোয়েব বলেন, “আমি নাম নেব না, কিন্তু ভারতের প্রধান বোলারদের তখনও এক ওভার করে বাকি ছিল। ধোনি সকলকেই জিজ্ঞেস করেছিল বল করতে চায় কি না। কিন্তু ওরা সবাই মিসবাকে বল করতে ভয় পাচ্ছিল। ও মাঠের সব দিকে মারছিল সেই সময়।”
শোয়েবের দাবি যদিও সম্পূর্ণ সত্যি নয়। স্কোরবোর্ড বলছে, শেষ ওভারের আগেই আরপি সিংহ, শ্রীসন্থ এবং ইরফান পাঠানের ওভারের কোটা শেষ হয়ে গিয়েছিল। দুই স্পিনার হরভজন সিংহ এবং ইউসুফ পাঠানের ওভার বাকি ছিল। শেষ ওভারে স্পিনার দিয়ে বল করানোর ঝুঁকি সে সময় ধোনি হয়তো নিতে চাননি। সেই কারণেই যোগীন্দরের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন ধোনি।
শোয়েব বলেন, “লোকে মিসবার স্কুপ শট নিয়ে কথা বলে। আমি বলছি, হাতে যদি উইকেট থাকত মিসবা তা হলে বোলারের মাথার উপর দিয়ে মারত। ওই ওভারে যোগীন্দরকে একটা ছয় মেরেছিল ও।” মিসবা নিজে জানিয়েছিলেন, কেন তিনি ওই শটটি খেলেছিলেন সে সময়। মিসবা বলেন, “ওই শটটা সে বারের প্রতিযোগিতায় আমি বার বার খেলেছিলাম। চেষ্টা করছিলাম একটা বাউন্ডারি মারার। তা হলে পরের বলে এক রান নিয়ে টাই করা যেত। তা হলে ওরা ফিল্ডার এগিয়ে নিয়ে আসত এবং আমি বড় শট খেলার চেষ্টা করতাম।”
শেষ ওভারে পাকিস্তানের জেতার জন্য ১৩ রান প্রয়োজন ছিল। প্রথম দু’বলে ৮ রান তুলে নেয় পাকিস্তান। শেষ ৪ বলে প্রয়োজন ছিল ৫ রান। এমন অবস্থায় স্কুপ করতে গিয়ে উইকেট দিয়ে বসেন মিসবা। সেই সঙ্গে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটি চলে আসে ভারতের হাতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy