ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম এক দিনের ম্যাচে বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন শ্রেয়স আয়ার। ৩৬ বলে ৫৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস উপহার দেন প্রাক্তন নাইট অধিনায়ক। মোট ৯টি চার ও দু’টি ছক্কার সৌজন্যে গড়েন এই ইনিংস। শুভমন গিল ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেলেও শ্রেয়সের ঝোড়ো ব্যাটিং ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়ে যায় ইংল্যান্ডের হাত থেকে।
ম্যাচ শেষে সম্প্রচারকারী চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দেন শ্রেয়স। সেখানে জানান, বিরাট কোহলি ফিট থাকলে প্রথম একাদশে সুযোগ পেতেন না। বুধবার রাতেই তিনি জানতে পারেন, প্রথম এক দিনের ম্যাচে খেলতে চলেছেন। শ্রেয়স বলেছেন, ‘‘বুধবার রাতে রোহিত ভাই আমাকে বলেছিল আজ খেলতেও পারি। কারণ, বিরাট ভাইয়ের হাঁটুতে চোট ছিল। ও ফিট থাকলে প্রথম একাদশে আমি সুযোগ পেতাম না।’’
শ্রেয়স চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে বিরাট ফিট হয়ে ফিরলে তিনি কি আর সুযোগ পাবেন? এক দিনের ক্রিকেটের অভিষেক ম্যাচে ওপেন করে ১৫ রানে আউট হয়ে যান যশস্বী জয়সওয়াল। পরের ম্যাচে বিরাট ফিরলে শুভমনকে ওপেন করতে পাঠানো হতে পারে। যশস্বীকে দলের বাইরে রাখা হতেই পারে। সে ক্ষেত্রে শ্রেয়স সুযোগ পেতে পারেন। তিনি যদিও সুযোগ পাওয়া নিয়ে ভাবছেন না। শ্রেয়সের কথায়, ‘‘পরের ম্যাচে কী হবে তা এখন থেকে ভাবছি না। এই ম্যাচে ভাল খেলতে চেয়েছিলাম। সেই লক্ষ্যে সফল হয়েছি।’’
৮৭ রান করে ম্যাচের সেরা হয়েছেন শুভমন গিল। এক দিনের ক্রিকেটে সাধারণত ওপেন করতেন। এ দিন তিন নম্বরে ব্যাট করতে হয়। ১৯ রানে দুই উইকেট হারানোর পর থেকে শ্রেয়সের সঙ্গে জুটি গড়েন তিনি। তিন নম্বরে নেমে নতুন করে কি শুভমনকে মানিয়ে নিতে হল? ভারতের সহ-অধিনায়কের উত্তর, ‘‘টেস্টে তো তিন নম্বরেই ব্যাট করি। মানিয়ে নেওয়ার মতো কিছু নেই। ওপেনার দ্রুত ফিরে গেলে এক রকম মানসিকতা নিয়ে ব্যাট করতে হয়। ওপেনিং জুটি বড় হলে আমাকে নেমেই আগ্রাসী শট খেলতে হয়। এর চেয়ে বেশি মানিয়ে নেওয়ার মতো কিছু নেই।’’
সহ-অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচে কী ধরনের দায়িত্ব পালন করতে হল শুভমনকে? তাঁর উত্তর, ‘‘রোহিত ভাই আমার সঙ্গে আলোচনা করে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিচ্ছিল। আমার থেকে অনেক পরামর্শও চেয়েছে। রোহিত ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করতে পেরে ভাল লাগছে।’’
শুভমন ও শ্রেয়স দু’জনেই রিভার্স সুইপ মারেন ইংল্যান্ড স্পিনারদের বিরুদ্ধে। দল থেকেই কি রিভার্স সুইপ খেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল? শুভমন সাফ বলেন, ‘‘দল থেকে এই ধরনের নির্দেশ দেওয়া হয় না। স্পিনারদের বল ব্যাটে আসছিল না। অনেক বেশি ঘুরছিল। সোজা শট নেওয়া যাচ্ছিল না। তাই সুইপ ও রিভার্স সুইপ খেলে স্কোরবোর্ড সচল রাখতে হয়েছে। পেসারদের বিরুদ্ধে সহজেই শট নেওয়া যাচ্ছিল।’’
দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচ রবিবার। তার মধ্যে ফিট হয়ে যেতে পারে বিরাট। ভারতীয় মহাতারকা দলে ফিরলে শুভমনকে ওপেন করতে হয় কি না সেটাই দেখার।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)