দ্বিতীয় দিনে শুরুটা ভালই করেছিলেন। ধীরে ধীরে দ্বিশতরানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে দেড়শোও পেরোতে পারলেন না। তার আগেই শোয়েব বশিরকে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন। সাজঘরে ফেরার পথে কাঁদতে দেখা গেল শুভমন গিলকে। তবে সেই কান্না দ্বিশতরান হারানোর না কি মোড় ঘোরানো শতরানের, তা বোঝা যায়নি।
দ্বিতীয় দিন প্রথম ঘণ্টায় বিন্দুমাত্র অস্বস্তিতে দেখায়নি শুভমনকে। ধীরে ধীরে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। উল্টো দিকে থাকা ঋষভ পন্থ আগ্রাসী খেললেও শুভমন সেই রাস্তায় হাঁটেননি। তবে বশির আসার পর হঠাৎই তাঁকে স্লগ-ফ্লিক করতে যান শুভমন। মিড উইকেট ফাঁকা ছিল। চাইছিলেন সেখান থেকে শট খেলতে। তবে বশিরের বল শুভমনের ব্যাটের উপরের দিকে লাগে। ফলে শটে সে রকম জোর ছিল না। ডিপ স্কোয়্যার লেগে ক্যাচ ধরেন জশ টং।
শুভমন সাজঘরে ফেরার সময় গোটা স্টেডিয়াম উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিতে থাকে। সাজঘরে থাকা সতীর্থেরাও দাঁড়িয়ে পড়ে হাততালি দেন। বাউন্ডারির ধারে ক্যামেরাম্যানরা শুভমনের আবেগ ধরার চেষ্টা করছিলেন। তখনই ভারত অধিনায়কের চোখে জল দেখা যায়।
আরও পড়ুন:
রোহিত শর্মার থেকে অধিনায়কত্বের ব্যাটন পাওয়ার পর থেকেই শুভমনের মাথার উপরে চাপ ছিল। সেই চাপ প্রথম ইনিংসেই কাটিয়ে দিয়েছেন তিনি। ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথম বার শতরান করেছেন। তবে আরও বড় রান করার সুযোগ ছিল শুভমনের কাছে। সেটি তিনি হাতছাড়া করেছেন।