লর্ডসে শেষ দিনের শেষ সেশনে ম্যাচ হারল ভারত। রবীন্দ্র জাডেজা, জসপ্রীত বুমরাহ এবং মহম্মদ সিরাজের হার-না-মানা লড়াই সত্ত্বেও হারতে হল ২২ রানে। সিরিজ়ে ২-১ এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড। ম্যাচের পর তিন ক্রিকেটারকে কুর্নিশ করলেন শুভমন গিল। হারের কাটাছেঁড়া করতে গিয়ে দু’টি কারণের কথা উঠে এল তাঁর মুখে।
সঞ্চালক মাইক আথারটন প্রথমেই প্রশ্ন করেন জাডেজাদের লড়াই নিয়ে। শুভমনের উত্তর, “ওদের ব্যাটিংয়ে আমি অত্যন্ত গর্বিত। পাঁচ দিন লড়াকু ক্রিকেট খেলা হয়েছে। যখন সেই লড়াই শেষ সেশনে শেষ উইকেটে পৌঁছে যায়, তখনই বোঝা যায় সেটা কতটা তীব্র ছিল। রান তাড়া করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।”
হারের নেপথ্যে টপ অর্ডারের ব্যর্থতা এবং প্রথম ইনিংসে লিড নিতে না পারাকে দুষেছেন শুভমন। বলেছেন, “সোমবার সকালেও ভেবেছিলাম ম্যাচটা জিতে যাব। কারণ অনেকের ব্যাট করা বাকি ছিল। তবে ইংল্যান্ড যে ভাবে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেললে তাতে মনে হল, টপ অর্ডারে অন্তত দুটো ৫০ রানের জুটি হলেই ম্যাচটা বার করে ফেলতে পারতাম। সেটা পারিনি। ইংল্যান্ড আমাদের চেয়ে ভাল খেলেছে।”
তিনি আরও বলেন, “এক সময় ভেবেছিলাম ৮০-১০০ রানের লিড হলেই যথেষ্ট। কারণ পঞ্চম দিনে এই মাঠে ১৫০-২০০ রান তাড়া করা যে কিছুটা কঠিন সেটা আগে থেকেই জানতাম। তাই অন্তত ৮০ রানের লিড চেয়েছিলাম। তা হলেই ভাল জায়গায় থাকতাম। তা ছাড়া, চতুর্থ দিন শেষ এক ঘণ্টায় খুব খারাপ ব্যাট করেছি আমরা। বিশেষ করে শেষ দুটো উইকেট পড়া একেবারেই উচিত হয়নি। আজ সকালেও যদি একটা অন্তত ৫০ রানের জুটি হত, তা হলেই অনেকটা ভাল জায়গায় থাকতাম আমরা।”
সিরিজ়ে পিছিয়ে গিয়েও খুব একটা চিন্তিত নন শুভমন। তাঁর মতে, যে লড়াইটা তাঁরা করেছেন সেটাই আসল। ভারত অধিনায়কের কথায়, “কখনও কখনও সিরিজ়ের স্কোরকার্ড আসল চিত্রটা পরিষ্কার করে না। আমরা ভাল ক্রিকেট খেলেছি। এখন থেকে আরও ভাল খেলব বাকি সিরিজ়ে।”
আরও পড়ুন:
টেলএন্ডারদের সঙ্গে একা দীর্ঘ ক্ষণ লড়াই করেছেন জাডেজা। তাঁকে কি আলাদা বার্তা দিয়েছিলেন? শুভমনের উত্তর, “জাডেজা অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। ওকে আলাদা করে বার্তা দেওয়ার দরকার পড়ে না। আমরা চাইছিলাম টেলএন্ডারদের নিয়ে যতটা সম্ভব ব্যাট করুক। সেটা পেরেছে।”
সিরিজ়ে দু’টি টেস্ট খেলে ফেললেন বুমরাহ। অর্থাৎ আর একটি টেস্টেই পাওয়া যাবে তাঁকে। ম্যাঞ্চেস্টারের পরের টেস্টে খেলবেন? শুভমনের সংক্ষিপ্ত উত্তর, “সময় এলেই জানতে পারবেন।”